ঝিলম করঞ্জাই , কলকাতা :  অ্যাডিনো-আতঙ্কের ( Adenovirus )  মাঝে ফের বি সি রায় শিশু হাসপাতালে ( Dr. B C Roy Memorial Hospital For Children ) আরও ২ শিশুর মৃত্যু হল। 


উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার ৪ বছরের শিশুর জ্বর, শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায়, প্রথমে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি বি সি রায় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পর ভেন্টিলেশনে রাখা হয় শিশুকে। সেখান থেকে বের করায়, বুধবার ভোর ৪টে ৫৫ মিনিটে শিশুর মৃত্যু হয়। নিউমোনিয়ার জেরে মৃত্যু বলে উল্লেখ করা হয়েছে।


অন্যদিকে, রবিবার বারাসাত হাসপাতালে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে এক সদ্যোজাত। ওইদিনই ফুলবাগানের বি সি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভেন্টিলেশনে রাখা হয় নবজাতককে। আজ সকালে তার মৃত্যু হয়। 


কলকাতা মেডিক্যালেও শিশু মৃত্যু
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। চুঁচুড়ার হামিদপুরের ৭ মাসের শিশুর জ্বর, শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায় ১৯ ফেব্রুয়ারি, চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয়। আজ ভোরে মৃত্যু হয় একরত্তির। ওই শিশুর জন্মগত হার্টের সমস্যা ছিল। শরীরে অ্য়াডিনো ভাইরাস মেলে। হাসপাতালের দাবি, অ্যাডিনোর জেরে নিউমোনিয়া সংক্রমণ মিটলেও, হার্টের সমস্যার কারণেই ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।


কলকাতা মেডিক্যালে মৃত দ্বিতীয় শিশুর বয়স ২২ দিন। হাওড়ার বাগনানের বাসিন্দা। জ্বর-শ্বাসকষ্ট থাকায়, ১৬ ফেব্রুয়ারি উলুবেড়িয়া হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয়। অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণ মেলে। গতকাল রাতে ওই শিশুর মৃত্যু হয়। 


অ্যাডিনো ভাইরাসও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কার্যত নাড়িয়ে দিচ্ছে। হাসপাতালে হাসপাতালে উপচে পড়ছে আক্রান্ত শিশুর ভিড়।পেডিয়াট্রিক ICU-র অবস্থাও মারাত্মক।রাজ্য়ে ১ মার্চ পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এর মধ্যে মেডিক্যাল কলেজে এখনও পর্যন্ত ১৫ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। বি সি রায় শিশু হাসপাতালে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। এছাড়াও, পার্ক সার্কাসের ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে ৫, পিয়ারলেস হাসপাতালে ২ ও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। 


এই পরিস্থিতিতে, নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্য-সচিব এবং মুখ্যসচিবের বৈঠক হয়। সূত্রের দাবি, সেই বৈঠকে উদ্বেগপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিডের সময় যেভাবে কাজ করা হয়েছে। এক্ষেত্রেও যেন সেই রকম ব্যবস্থা করা হয়। অক্সিজেনের অভাব যাতে না হয় সেই বিষয়ে নজর রাখতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী ( Mamata Banerjee )।