কলকাতা: আরও একধাপ এগোল তাজপুর বন্দর (Tajpir Port) তৈরির কাজ। বন্দরের পরিকাঠামো সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে নবান্নে আদানি গোষ্ঠীর (Adani Group) আধিকারিকরা। বন্দর তৈরি করতে ইতিমধ্যেই তাজপুরে জমি জরিপ এবং সমীক্ষার কাজ শুরু করে দিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। সেই নিয়ে কথা বলতেই নবান্নে প্রতিনিধি পাঠাল তারা (Nabanna)। 

বন্দর তৈরি করতে ইতিমধ্যেই তাজপুরে জমি জরিপ এবং সমীক্ষার কাজ শুরু

আদানি গোষ্ঠী এবং পরিবেশ দফতরের আধিকারিকরা এই মুহূর্তে যৌথ সমীক্ষা চালাচ্ছে তাজপুর এবং তার সংলগ্ন এলাকায়। বন্দর তৈরির জন্য পরিকাঠামো গড়ে তুলতে গিয়ে সম্প্রতি স্থানীয় মৎস্যজীবীদের একাংশের আপত্তির সম্মুখীন হয়েছে আদানি গোষ্ঠী। যদিও এব্যাপারে যাবতীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য সরকার। মৎস্যজীবীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। 

একই সঙ্গে পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্রের জন্যও শুরু হয়েছে সমীক্ষা। আদানি গোষ্ঠীর ইঞ্জিয়ার ও পরিবেশ দফতরের আধিকারিকরা যৌথ সমীক্ষা  চালাচ্ছে তাজপুর ও সংলগ্ন এলাকায়। তার মধ্যেই উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কী কী সমস্যা হচ্ছে, তা জানাতে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে আলোচনা করতে নবান্নে আসেন আদানি গোষ্ঠীর আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন: Tapas Roy: পার্থ-সুদীপের বিরুদ্ধে সরব বার বার, তৃণমূলে গুরুত্ব বাড়ল তাপসের, পেলেন নয়া দায়িত্ব

নবান্ন সূত্রে খবর, পরিকাঠামো সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কিছু জায় সরকার সহযোগিতা করবে বলে আশ্বস্ত করেছেন মুখ্যসচিব। মৎস্যজীবীদের সঙ্গেও রাজ্য সরকার কথা বলবে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত সমীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। ওই সমীক্ষা শেষ হলেই, রাস্তা-সহ অন্য পরিকাঠামোর কাজ শুরু করবে রাজ্য সরকার।

২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে তাজপুরে বন্দর তৈরির বরাত পায় আদানি গোষ্ঠী

২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে তাজপুরে বন্দর তৈরির বরাত পায় আদানি গোষ্ঠী। সমুদ্র বন্দর তৈরিতে সব মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানায় রাজ্য সরকার। এতে প্রত্যক্ষ ভাবে ২৫ হাজার কর্মসংস্থান হবে বলেও জানানো হয়। মূল প্রকল্পের সঙ্গে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। দুই মেদিনীপুরের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে বলে জানান খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই তাজপুর বন্দর নিয়ে গোড়া থেকেই কটাক্ষ করে আসছে বিরোধীরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছিলেন।