কলকাতা: করুণাময়ীতে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের অবস্থান তুলতে পুলিশি অভিযানের কড়া নিন্দা করলেন বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান ও পশ্চিমবঙ্গের সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য (Amit Malviya)। তিনি ট্যুইটে লেখেন, হিটলারের বাহিনীর মতো মাঝরাতে অভিযান চালিয়ে, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পুলিশ নির্মমভাবে বলপ্রয়োগ করে আন্দোলনরত ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের তুলে দিয়েছে। যাঁরা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের কাছে আইন মেনেই অবস্থান করছিলেন।






শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট: গতরাতের ঘটনা ঘিরে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। করুণাময়ীতে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীদের পুলিশ অভিযান চালিয়ে তুলে দেওয়ার ঘটনার কড়া নিন্দা করে ট্যুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের অবস্থানকে নির্মমভাবে বলপ্রয়োগ করে তুলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, না কি, হিটলারের জার্মানি?'


দিলীপ ঘোষের বয়ান: করুণাময়ীতে গভীর রাতে পুলিশি অভিযানের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও। ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এই সরকার কাজও করতে দেবে না। তার বিরুদ্ধে আন্দোলনও করতে দেবে না। যাঁরা চাকরির জন্য আন্দোলন করছেন, তাঁদের নির্মমভাবে ধাক্কা মেরে তুলে দিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে গণতন্ত্রের পরিবেশ নেই।


SFI-DYFI এর প্রতিবাদ কর্মসূচি: অন্যদিকে করুণাময়ীকাণ্ডের প্রতিবাদে SFI-DYFI এর প্রতিবাদ কর্মসূচিকে ঘিরে ফের উত্তেজনা ছড়ায়। আজ সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অফিস অভিযানের ডাক দিয়েছিল SFI-DYFI। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই জড়ো হতে শুরু করেন বাম ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা। পুলিশও শুরু করে ধরপাকড়। প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবের ছেলে সপ্তর্ষি দেবকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথম দফায় পুলিশ জানিয়েছে, ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


শুক্রবার সকালে যখন তোলপাড় রাজ্য, আন্দোলনকারীরা দাবি করেন করুণাময়ীতে পুলিশি অভিযানের পর থেকে নেতৃত্বস্থানীয় ৩ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পরে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, ওই তিনজন- অচিন্ত্য সামন্ত, অর্ণব ঘোষ ও অচিন্ত্য ধাড়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। তাঁদের রাখা হয়েছে বিধাননগর পূর্ব থানায়। এছাড়া প্রায় ১৫০ জনকে প্রিভেন্টিভ অ্যারেস্ট করা হয়। তবে কোনও মহিলা আন্দোলনকারীরকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। মহিলাদের ধর্মতলা, শিয়ালদা ও হাওড়ায় পৌঁছে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, পুলিশ সূত্রে খবর, যাঁদের প্রিভেন্টিভ অ্যারেস্ট করা হয়েছিল, তাঁদের পরে থানা থেকেই জামিন দেওয়া হয়।