কলকাতা: বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে গেল ট্যাংরার গুদাম। দমকল দেরিতে আসার অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। অভিযোগ মানতে চাননি কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ। কীভাবে বসতি এলাকায় গুদাম তৈরি হল তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এরই মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুষেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য।
এদিন ট্যুইটে বিজেপি নেতা বলেন, "কলকাতার ট্যাংরায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। কলকাতার যানজটপূর্ণ রাস্তায় বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা সত্ত্বেও অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুই শিখেননি। এখানে স্থানীয়দের দেখা যায় তাদের বাড়ি থেকে জলের বালতি নিয়ে ঢালছে। জল ফুরিয়ে যাওয়ার পর ফায়ার টেন্ডার ভরছে।"
দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন...গুদাম থেকে ছড়িয়ে পড়ল বসতির দিকে... গুদামের দেওয়ালে ধরল ফাটল...হাওয়ায় বাড়ল আগুনের তীব্রতা...শনিবার সন্ধ্যায় চোখের সামনে এভাবে ছাই হয়ে গেল ট্যাংরার মেহের আলি লেনের বিশাল গুদাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলছিল কাজ। তারপরই গুদামে আগুন লাগে। অভিযোগ, পুলিশকে বারবার বলার পরেও, দমকল অনেক দেরিতে আসে। ট্যাংরার বাসিন্দা বলেন, "ট্যাংরা থানাকে ফোন করেছি। এক ঘণ্টা পরে পুলিশ এসেছে। দেরি করে এসেছে।" এতটাই ঘিঞ্জি যে এলাকায় ঢুকতে হিমশিম খান দমকলকর্মীরা।
অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন ঘিঞ্জি এলাকায় কীভাবে দিনের পর দিন চলছিল গুদাম? কোনও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি? দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, "কারখানায় কিছু দাহ্য পদার্থ ছিল বলে শুনেছি। লেদারের মতো মেটিরিয়াল। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কিনা জানা যায়নি। বোঝা যাচ্ছে না সিস্টেম ছিল কি না।"
রাতেই দমকলের তরফে দাবি করা হয়, গুদামের পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনও বাসিন্দা আটকে নেই। ফাঁকা করে দেওয়া হয় অ্যাপ্রোচ রোড।