নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে বিজেপি। এবার দলের ইস্তেহারে থাকা ঘোষণা পূর্ণ করার চ্যালেঞ্জ বিজেপির সামনে। উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে এবারের বিজেপির ইস্তেহারে ১৩০ টি ঘোষণা রয়েছে। কিন্তু এগুলির মধ্যে একটি ঘোষণা বিজেপিকে সরকার গঠনের আগেই পূর্ণ করতে হবে। বিজেপি হোলি ও দীপাবলিতে নিখরচায় রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গত ১০ মার্চ ভোটের ফল বেরিয়েছে। এর ৯ দিনের মধ্যেই বিজেপির সামনে এই প্রতিশ্রুতি পালনের চ্য়ালেঞ্জ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তাঁদের জনসভাগুলিতে জয়ের পরই গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার কথা বলেছিলেন। 


বিজেপির ইস্তেহারে হোলি ও দীপাবলিতে নিখরচায় গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি এই প্রতিশ্রুতি যত দ্রুত সম্ভব পূরণ করে জনমানসে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করবে যে, তারা যা বলেছে, কা পূরণ করেছে। কিন্তু এই প্রতিশ্রুতি পালনের ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশ সরকারের সামনে দ্বিমুখী চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রথম তো এই প্রতিশ্রুতি পালন করতে গেলে ১৪০০ কোটি টাকা খরচ হবে। অন্যদিকে, নিখরচায় গ্যাসের সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে কী প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হবে, তা স্থির করতে হবে। উল্লেখ্য, রাজ্যে উজ্জ্বলা প্রকল্পের সুবিধা প্রাপকের সংখ্য়া প্রায় দেড় কোটি। এই বিপুল সংখ্যায় গ্রাহকদের নিখরচায় গ্যাসের সিলিন্ডার দিতে মাথাপিছু ৯৩৭ টাকা অর্থাৎ সবমিলিয়ে ১৪০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। সেইসঙ্গে সরকারের সামনে প্রশ্ন থাকবে, এক সপ্তাহের মতো সময়ের মধ্যে কোন প্রকল্পের আওতার গ্রাহকদের কাছে নিখরচায় এই গ্যাসের সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়া যায়। 
বিজেপির ইস্তেহার কমিটির সভাপতি তথা অর্থমন্ত্রী সুরেস খন্না বলেছেন, বিজেপি ২০১৭-তে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পূরণ করে দেখিয়েছি। ২০২২-র ইস্তেহারেও যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তা পূরণ করা হবে। তিনি বলেছেন, নিখরচায় গ্যাস সিলিন্ডার প্রদান নিয়ে খুব শীঘ্রই বৈঠক করে এ ব্যাপারে কোন প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিজেপির অন্য ঘোষণাগুলির মধ্যে রয়েছে, ১৪ দিনের মধ্যে আখের কৃষকদের বকেয়া মেটানো ও ছাড়া পশুর সমস্যা থেকে রেহাই দেওয়া। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ওই সমস্ত প্রতিশ্রুতিগুলি ধাপে ধাপে পালন করা হবে।