দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান: অন্ডাল এয়ারপোর্টে নামলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। তারপর দুর্গাপুর থেকে BSF-এর হেলিকপ্টারে সরাসরি উড়ে গেলেন সিউড়ি। সিউড়ি সার্কিট হাউজে মধ্য়াহ্নভোজ করবেন তিনি। এদিন বিমান বন্দরে শাহকে স্বাগত জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
সিউড়িতে জনসভা শাহ-র
ইতিমধ্যেই অমিত শাহর সভার সূচিবদল হয়েছে। জানা গিয়েছে, বেলা ২ টোয় সিউড়িতে তাঁর জনসভা। এরপর দুপুর ৩টে নাগাদ সিউড়ি বিবেকানন্দ পল্লীতে জেলা বিজেপি কার্যালয় উদ্বোধন করবেন অমিত শাহ। ৪টে নাগাদ হেলিকপ্টারে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ৫টায় এয়ারপোর্টে নেমে, সোজা যাবেন দক্ষিণেশ্বর।
দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিয়ে সোজা চলে যাবেন নিউটাউনের হোটেলে
পুজো দিয়ে সোজা চলে যাবেন নিউটাউনের হোটেলে। সেখানে দলের নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক করবেন অমিত শাহ। রাতে থাকবেন সেখানেই। শুক্রবার রাতেই নিউটাউনের একটি হোটেলে দলের কোর কমিটি ও রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন শাহ। আগামীকাল সকালে ব্যক্তিগত কিছু বৈঠক সেরে সাড়ে এগারোটা নাগাদ দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রবিবার অমিত শাহর সভাস্থলেই সভা ফিরহাদের।
স্বাগত জানিয়ে ট্যুইট শুভেন্দুদের
রাজ্যে অমিত শাহর (Amit Shah) সফর উপলক্ষে স্বাগত জানিয়ে ট্যুইট শুভেন্দু ও সুকান্তদের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে ট্যুইট রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। এদিন ট্যুইটে শুভেন্দু লিখেছেন, 'মাননীয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে উষ্ণ স্বাগতম। রাজ্যে আপনার উপস্থিতি আমাদের অনুপ্রাণিত করে এবং মনোবল বাড়ায়।'। পাশাপাশি এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজমুদারও ট্য়ুইটে স্বাগত জানিয়েছেন শাহকে।
আরও পড়ুন, 'আপনার উপস্থিতি মনোবল বাড়ায়', শাহ-কে স্বাগত জানিয়ে ট্যুইট শুভেন্দুদের
প্রসঙ্গত, রাজ্যে এই মুহূর্তে রামনবমীর মিছিল ঘিরে হাওড়া, হুগলি অশান্তির পর ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবের কাছ থেকে রিপোর্ট চাইলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শিবপুর, ডালখোলা, রিষড়ায় দফায় দফায় অশান্তি। বঙ্গ বিজেপির কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই রিপোর্ট তলব। পুলিশ কেন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করেনি তা জানতে চেয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, এমনই খবর সূত্রের। এ নিয়ে সুকান্ত মজুমদার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে যে চিঠি দিয়েছেন, সেখানে রাজ্য পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করা হয়েছে। হিংসার জন্য তিনি মূলত রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে দায়ি করেছেন। তার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি হনুমান জয়ন্তীর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে অশান্তি এড়াতে ৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো হয়।