সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মধ্যেই মশা-বাহিত এনসেফ্যালাইটিস নিয়ে বাড়ল উদ্বেগ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্টে ধরা পড়েছে সেই ছবি। আক্রান্তের নিরিখে দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। মৃ্ত্যুর নিরিখে উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থানে বাংলা।শেষ তিনমাসে রাজ্যে প্রায় ৭ গুণ বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। নভেম্বরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত রাজ‍্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৩২৬। মৃৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। শেষবার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল ৩১ অগাস্ট। সেই সময় রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৯৮, মৃ্ত্যু হয়েছিল ২ জনের।


ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া নিয়ে আতঙ্ক বেড়েছে রাজ্যে। মশাবাহিত এই রোগ নিয়ে উদ্বেগে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরও। ম্য়ালেরিয়া নিয়েও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান চিন্তা বাড়িয়েছে। কী ছিল সেই পরিসংখ্যানে?


চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলায় ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৭৩৯ জন। দ্বিতীয়তে ছত্তীসগঢ়, এখনও পর্যন্ত ২৪ হাজার ১২৩ জন ম্য়ালেরিয়ায় আক্রান্ত। ২০ হাজার ৭১৩ জন ম্য়ালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে তৃতীয়তে ওড়িশা। একদিকে ডেঙ্গি-বাহক এডিস, অন্যদিকে ম্যালেরিয়ার বাহক অ্যানোফিলিস। দুই মশার দংশন থেকে বাঁচতে আপাতত মশারির রক্ষাকবচের ওপরেই বেশি করে জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 


মশাদের আরও একটি চারিত্রিক পরিবর্তন বিশেষজ্ঞদের নজরে এসেছে। এতদিন নোংরা জমা জলে বংশবিস্তার করত অ্যানোফিলিস মশা। এখন দেখা যাচ্ছে, পরিষ্কার জমা জলেও ডিম পাড়ছে ম্যালেরিয়ার জীবাণু বাহক মশা। অ্যানোফিলিস মশার সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে, বর্তমানে, ডেঙ্গি আক্রান্তের থেকে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। 


ডেঙ্গির প্রকোপও চলছে
শীত এলেও কমছে না মশাবাহিত রোগের দাপট। কলকাতায় পরপর ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বেলেঘাটা আইডিতে রোগীমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। রাজারহাট-গোপালপুর এলাকাতেও আরও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta university) জুলজি বিভাগের (Zoology Department) গবেষণায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ডেঙ্গি (Dengue)-বাহক এডিস মশার থেকে বেশি পরিমানে জন্মাচ্ছে ম্যালেরিয়ার (Malaria) বাহক অ্যানোফিলিস মশা। উদ্বেগ, কলকাতা (Kolkata) হরে। মশাবাহিত রোগের আক্রমণে কার্যত তটস্থ বঙ্গবাসী। পতঙ্গবিদ, অধ্যাপক-গবেষকদের দাবি, বর্তমান আবহাওয়ায় দেখা যাচ্ছে,  ডেঙ্গি-বাহক এডিস মশার থেকে । বেশি পরিমানে জন্মাচ্ছে, ম্যালেরিয়ার বাহক অ্যানোফিলিস মশা। আর এই পরিস্থিতিতেই আরও বেশি আতঙ্কে রয়েছেন কলকাতা পুরসভা ও লাগোয়া একাধিক জেলার বাসিন্দারা।


আরও পড়ুন: এবার CBI-এর বিরুদ্ধেই চুরির অভিযোগ, অভিযোগ দায়ের লালনের স্ত্রীর