আবির দত্ত, আনন্দপুর: আনন্দপুর থানা এলাকায় গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার। ৩ বছরের সন্তানের সামনেই আত্মঘাতী বলে দাবি পরিবারের।  প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে আত্মহত্যা। মৃতের নাম বিচিত্রা মণ্ডল। গতকাল চৌবাগা স্কুল রোডে শ্বশুরবাড়ি থেকে বছর বাইশের গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে রবিবার গৃহবধূকে বোঝাতে তাঁর মা মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে আসেন। গতকাল তিনি চলে যাওয়ার পর, স্বামী কাজে বেরিয়ে গেলে গৃহবধূ আত্মহত্যা করেন বলে পরিবারের দাবি। 


আনন্দপুর থানা এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ। পরিবারের দাবি, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন বধূ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 


বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে ৩ বছরের সন্তানের সামনে আত্মঘাতী মা! আনন্দপুরে এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে উঠল এমনই অভিযোগ! মাত্র ২২ বছর বয়সী ওই বধূর নাম বিচিত্রা মণ্ডল। চৌবাগা স্কুল রোডে শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হয়, তাঁর ঝুলন্ত দেহ। পরিবারের দাবি, ঘটনার সময় ঘরেই ছিল, তাঁর ৩ বছরের সন্তান। তার ডাকাডাকিতেই এই ঘটনা সবার নজরে আসে বলে পরিবারের দাবি।


পরিবার সূত্রে দাবি, সম্প্রতি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ওই গৃহবধূ। এনিয়ে স্বামীর সঙ্গে অশান্তি চলছিল। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে, তদন্তে নেমেছে আনন্দপুর থানার পুলিশ। 


হুগলিতে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার: প্রেমে (love) বাধা (resistance) দিয়েছিল পরিবার (family)। অভিযোগ, তার জেরে আত্মঘাতী (suicide) হলেন প্রেমিক-প্রেমিকা (couple)। মৃতদের এক জন প্রাপ্তবয়স্ক (adult) হলেও দ্বিতীয় জন নাবালিকা (underage)। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে হরিপাল (haripal) থানার মালিয়া গ্রামে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। দুজনেই হরিপাল থানা এলাকার বাসিন্দা। 


কী ঘটেছিল? হামিরাগাছি ব্রাহ্মণপাড়ার একটি বাঁশবাগানে ওই যুগলকে আজ সকালে একই দড়িতে ঝুলতে দেখা যায়। মৃত তরুণের বাড়ির অদূরেই ওই বাঁশবাগান। পড়শিদের দাবি, দুজনের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠতা। কিন্তু বাড়ির লোকজন এই সম্পর্ক মানতে চাননি। ২০২০ সালে দুজনে একবার পালিয়েও গিয়েছিল। সেই সময় তরুণের বিরুদ্ধে নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগ করে পরিবার। পুলিশ দুজনকে উদ্ধার করে। কিন্তু ওই ঘটনায় তিন মাস জেলে ছিলেন তরুণ। তার পরও দুজনের সম্পর্ক ভাঙেনি, জানাচ্ছেন পড়শিরা। যোগাযোগও ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, মাঝেমধ্যে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে কিশোরী কয়েকদিন করে থেকে আসত। এবারও সেই জন্যই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। তাও দিনচারেক আগেকার ঘটনা। কিন্তু তার পর যে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হবে, সে কথা ভাবতে পারেননি কেউ। কার্যত এক অবস্থা তরুণের পরিবারেও। শোকে বিহ্বল দুই বাড়ি। কথা বলার ভাষাটুকুও হারিয়েছেন তাঁরা। এলাকাতেও বিষণ্ণতার ছায়া। জলজ্যান্ত দুটো প্রাণ এভাবে চলে যাওয়ার ধাক্কা সামলাতে পারছেন না পড়শিরাও।