অতনু হালদার, কলকাতা: ‘আনিস খুনে (Anish Khan Death Case) পুলিশের (Cops) দু’জন গ্রেফতার হয়েছে। কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। পুলিশকে পুলিশের কাজ করতে দিন। কলকাতায় বারবার বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে, এগুলো বন্ধ হোক। রাজ্য সরকারকে দুর্বল ভাববেন না’, নবান্ন থেকে বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee)।
এরপরেই জানা গিয়েছে, ‘আনিস খুনে গ্রেফতার দু’জন পুলিশকর্মী। ঘটনার সঙ্গে পুলিশ-যোগের প্রমাণ মিলেছে। আরও চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমতার ঘটনার সঙ্গে কোন পুলিশের কী ভূমিকা, মিলেছে তথ্য’, খবর পুলিশ সূত্রে।
সাংবাদিক বৈঠকে ডিজিপি মনোজ মালব্য জানিয়েছেন, ‘আনিস খুনে রাজ্য পুলিশ সিট গঠন করেছে। নিরপেক্ষ তদন্ত হয়েছে। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা ও সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্য গ্রেফতার। সিটকে কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কিছু রাজনৈতিক দল সিটের কাজে বাধা দিচ্ছে। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আনিস খানের দেহের ফের ময়নাতদন্তের জন্য সিটের আবেদন। আগেই তিনজন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ১৫ দিনের সত্য সামনে নিয়ে আসবে পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করুন’, আবেদন ডিজিপি-র।
‘কী হয়েছিল, পরে জানানো হবে’, বললেন ডিজিপি। তিনি আরও বলেছেন, ‘মৃতের পরিবার সুবিচার পাবে। যাঁরা গিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এখন তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ধৃত দু’জন আমতা থানার পুলিশকর্মী।’
এদিকে, ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদে এসএফআইয়ের বিক্ষোভ কর্মসূচি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়েও ধর্না অবস্থান এসএফআই সদস্যদের। আনিস-মৃত্যুর সঠিক তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে গতকাল সন্ধে ৬টা থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতভর ধর্না অবস্থান করেন পড়ুয়াদের একাংশ। আজ দুপুরে কলেজ স্ট্রিট মোড়ে পথ অবরোধ করেন এসএফআইয়ের সদস্যরা। এরপর এসএফআইয়ের কলকাতা জেলা কমিটির ডাকে রাজ্য দফতর থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মিছিলে পা মেলান বিক্ষোভকারীরা।
অন্যদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রশাসনিক ভবনের সামনে চলছে এসএফআইয়ের অবস্থান বিক্ষোভ। ছাত্র ধর্মঘটকে বানচাল করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছেৈ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মিছিলের ডাক দেয় এসএফআই।