আবীর ইসলাম, বোলপুর: হস্টেল (Hostel) খোলা-সহ একাধিক দাবিতে বিশ্বভারতীতে (Visva Bharati) ধুন্ধুমার। এদিন সেন্ট্রাল অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়াদের একাংশ। এরপর তারের বেড়া টপকে তাঁরা উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর দফতরের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।সেখানে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিক্ষোভকারীদের। রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এরপর ছাত্র পরিচালন দফতরের সামনেও বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বভারতীতে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ নতুন নয়। এর আগে গত সপ্তাহেও বিশ্বভারতীতে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ হয়। করোনা আবহে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হতে না হতেই অশান্তির চেনা ছবি দেখা যায় বিশ্বভারতীতে। ১৭ তারিখ অবিলম্বে হস্টেল খোলার দাবিতে প্রতিবাদে সামিল হন রবীন্দ্র ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ। 


আরও পড়ুন ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশ, গানে-আলপনায় শহিদ-স্মরণ শান্তিনিকেতনে


সব স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় খুলে গিয়েছে। ক্লাসরুমে ফিরেছে পঠনপাঠন। তা সত্ত্বেও বিশ্বভারতীতে এখনও সব  হস্টেল বন্ধ কেন? এই প্রশ্ন তুলে সুর চড়িয়েছেন ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা।  


গত বৃহস্পতিবার সকালে সেন্ট্রাল অফিসের সামনে বলাকা গেট থেকে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। প্রথমে মিছিল পৌঁছয় ভাষা ভবনে। সেখানে বন্ধ গেট টপকে কয়েকজন পড়ুয়া ভাষা ভবন ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার সেন্ট্রাল অফিসে পৌঁছয় বিক্ষোভ মিছিল। গণ্ডগোলের আশঙ্কায় সেন্ট্রাল অফিসের গেট বন্ধ করে রেখেছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে সেই প্রতিরোধ টেকেনি। গেট খুলে সেন্ট্রাল অফিসের ভিতরে ঢুকে শুরু হয় মিছিল, স্লোগান। কিছুক্ষণের মধ্যেই উপাচার্যের দফতরের অদূরে রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন ছাত্রছাত্রীরা। দুপুর দুটো পর্যন্ত ওই বিক্ষোভ চলে। এ বিষয়ে জানতে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিককে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। মেসেজেরও কোনও জবাব দেননি তিনি।


রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মেনে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে খুলে গিয়েছে বিশ্বভারতী। কিন্তু আনন্দ পাঠশালা এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের পঠনপাঠন শুরু হলেও, হস্টেল এখনও বন্ধই রয়েছে। তাতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে পড়ুয়াদের। তাই হস্টেল খোলার দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা।