হাওড়া: আইন আইনের পথে চলবে। দোষীরা শাস্তি পাবেই। এক দিন আগেই নবান্ন থেকে বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু হাওড়ায় ছাত্রনেতা আনিস খানের (Anis Khan Death) মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভ এ বার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে আনিসের বাবা সালেম খানের নেতৃত্বে আমতা থানার সামনে জড়ো হন শয়ে শয়ে মানুষ। মিছিলে ছিলেন ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা কাসেম সিদ্দিকিও।সেখানে থানার ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। সেই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে থানায় ঢোকার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। তাতে ধুন্ধুমার বেধে যায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয় বলেও অভিযোগ।
এ দিন দুপুরে মিছিল করে আমতা থানার সামনে পৌঁছয় বিক্ষোভকারীর দল। উত্তেজিত ভিড় থানায় ঢোকার চেষ্টা করে। তাদের বাধা দিতে এগিয়ে আসে পুলিশ। তাতে পুলিশের ব্যারিকেড ধরে টানাটানি শুরু হয়ে যায়। দফায় দফায় ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা হয়। তুলে ফেলে দেওয়া হয় গার্ডরেল। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভকারীদের। সেই সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। তাতে মুহূর্তের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায় আমতা থানার সামনে। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা।
খণ্ডযুদ্ধের মধ্যে এ দিন আমতা থানার সামনে অবস্থানেও বসেন বিক্ষোভকারীরা। আনিসের পরিবারও নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁর বাবা সালেম খানের সাফ বক্তব্য, "সিবিআই তদন্ত চাই আমাদের.। আমাদের দাবি সিবিআই। আমার ছেলের ন্যায্য বিচারের দাবি।" আনিসের দাদা সাবির খানের বক্তব্য, "পুলিশ জানত না কীভাবে মারা গেছে? ওসি জানতেন না? এটা বিশ্বাসযোগ্য? এই জন্যই সিটের ওপর আমাদের আস্থা নেই।" আনিসের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, তাঁরা তাকিয়ে রয়েছেন হাইকোর্টের মামলার দিকে। যদিও পুলিশের তরফে বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)-এর উপর আস্থা রাখতে আবেদন জানানো হচ্ছে।
আনিসের মৃত্যুর পর ৬ দিন পার হলেও, এখনও হাওড়ার আমতার রহস্যের জট কাটেনি। এই অবস্থায়, বৃহস্পতিবার মৃত ছাত্রনেতার বাড়িতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এমনকি মৃত ছাত্রনেতার সমাধিস্থলে রাখা হয়েছে সিবিআই তদন্ত এবং সঠিক বিচারের দাবি নিয়ে পোস্টারও। সেই অবস্থাতেই মৃত ছাত্রনেতার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দুপুরে আমতা থানার উদ্দেশ্যে মিছিল শুরু হয়।