হিন্দোল দে, অনির্বাণ বিশ্বাস ও ঝিলম করঞ্জাই, আমতা: নিহত প্রতিবাদীর পরিবারের পাশে দাঁড়াল আরও দুই প্রতিবাদী মুখ। বুধবার আমতায় (Amta) আনিসের (Anis Khan) বাড়িতে যান কামদুনির দুই প্রতিবাদী, টুম্পা ও মৌসুমী কয়াল। আনিসের পরিবারের সিবিআই (CBI) দাবির পক্ষে জোরাল সওয়াল করেন তাঁরা।


আনিস-মৃত্যুর প্রতিবাদে ঝড় উঠেছে গোটা রাজ্য জুড়ে। উত্তাল হয়েছে শহরের রাজপথ। পথে ঘাটে, ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে, দিকে দিকে ছাত্রনেতা আনিস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জ্বলছে আগুন। এই আবহে প্রতিবাদী ছাত্র নেতার পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন আরও দুই প্রতিবাদী মুখ। টুম্পা কয়াল ও মৌসুমী কয়াল।


কামদুনিতে কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে যে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল, তার পুরোভাগে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অন্যতম টুম্পা ও মৌসুমী। বুধবার বিকেল ৩টের সময় আমতার সারদা গ্রামের খাঁ পাড়ায় আনিসের বাড়িতে যান টুম্পা ও মৌসুমী। সঙ্গে ছিলেন অভিনেতা বাদশা মৈত্র ও রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়।


আনিসের বাবা, দাদার সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। একইসঙ্গে সমবেদনা জানিয়ে, পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।


টুম্পা কয়ালের কথায়, 'গোটা ঘটনার সিবিআই হওয়া উচিত। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ যখন তখন সিবিআই তদন্ত হোক।' পাশাপাশি মৌসুমী কয়ালের মতে, 'যেভাবে এই ঘটনা ঘটেছে, মুখ্যমন্ত্রীর এসে পরিবারের সঙ্গে দেখা করে যাওয়া উচিত।'


এদিন পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান অভিনেতা বাদশা মৈত্র। তিনি গোটা ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন।


আরও পড়ুন: Paschim Medinipur: স্কুলে ক্লাসরুম থেকে উদ্ধার গলায় ফাঁস দেওয়া মৃতদেহ, গড়বেতায় শিক্ষকের মৃত্যুতে রহস্য


ছাত্রনেতা আনিস খানের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শামসুল হুদা রোড থেকে মোমবাতি মিছিল করে দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেস। পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্টে যাওয়ার কথা থাকলেও তার আগেই সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউয়ে পুলিশ রাস্তা আটকে দেয়। সেখানেই অবস্থান-বিক্ষোভে বসে পড়েন কংগ্রেসের কর্মীরা। মিনিট ২০ পরে অবরোধ তুলে দেওয়া হয়। 


প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক জায়েদ হুসেন দাবি করেছেন ঘটনার সিবিআই তদন্তের। এদিনই আনিস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও হাইকোর্টের বিচারপতি দিয়ে বিশেষ কমিটি গড়ে তদন্তের দাবিতে ধর্মতলায় বিক্ষোভ দেখায় সারা বাংলা সংখ্যালঘু ফেডারেশন।