কলকাতা: হাওড়ার আমতার ছাত্রনেতা আনিস খান (Anish Khan) খুনের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। মৃত্যুর পর তিন দিন কেটে গেলেও এখনও কোনও সুরাহা হয়নি। আনিসের মৃত্যুর বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন একাধিক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। মঙ্গলবার দিনভর আন্দোলন চলে। পুলিশের সঙ্গে হয় ধস্তাধস্তিও।


দিনভরের এই আন্দোলনের আঁচ অব্যাহত রাতেও। যাদবপুরে ফের মিছিল করলেন পড়ুয়ারা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে থানা পর্যন্ত মিছিল করেন ছাত্রছাত্রীরা। অন্যদিকে আবারও কলেজ স্ট্রিট অবরুদ্ধ করলেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এছাড়া কিছুক্ষণের জন্য কোনা এক্সপ্রেসওয়ে অবরুদ্ধ করা হয় এসএফআই-এর তরফে।


অন্যদিকে মঙ্গলবার আনিস খানের মৃত্যুর তদন্তে তাঁর বাড়িতে যাওয়ার পরই সিটের সদস্যদের ঘিরে প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা (local residents)। আনিসের মৃত্যুর তদন্তে সোমবারই সিট তৈরির ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরে মঙ্গলবার হাওড়ার আমতায় আনিস খানের বাড়িতে যায় সিট (sit)। এর আগেও আনিসের বাড়িতে যাওয়ার সময় পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল।


হাওড়ার আমতার ছাত্রনেতা আনিস খানের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় বেশ কিছুদিন ধরেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবিতে মঙ্গলবার মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। মহাকরণেই রয়েছে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর। 


আরও পড়ুন: Anish Khan Death Protest: আনিস মৃত্যুতে উত্তপ্ত রাজপথ-ক্যাম্পাস, সিট-এর উপর ভরসা নেই, দাবি পরিবারের


আনিসের মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার না হলেও, বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে আমতা থানার ৩ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। সূত্রের খবর, আমতা থানার এএসআই (ASI) নির্মল দাস, কনস্টেবল জিতেন্দ্র হেমব্রমকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে  হোমগার্ড কাশীনাথ বেরাকে। তাঁদের বিরুদ্ধে মৃতের পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে। মঙ্গলবার সকালে রাজ্য পুলিশের তরফে এই শাস্তির কথা জানানো হয়েছে।