কলকাতা: ] হাওড়ায় ছাত্রনেতা আনিস খানের (Anis Khan Death) মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভ এ বার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল। আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদ। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের। মিছিল বেরনোর আগেই ক্যাম্পাসের মধ্যেই মিছিল আটকালো পুলিশ।
এদিন দুপুুরে ফের পথে নামলেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সামনে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। অন্যদিকে, আনিস মৃত্যুকাণ্ডে CBI তদন্তের দাবিতে অবস্থানে বসেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক।
হাওড়ার আমতার ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদ। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে ফের পথে নামলেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা! বৃহস্পতিবার, দুপুরে পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয় মিছিল! ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সামনে মিছিল আটকায় পুলিশ।
এর পরই রাস্তায় বসে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের দাবি, মিছিলের অনুমতি না থাকায় আটকানো হয়েছে। আনিসের মৃত্যুর প্রতিবাদ ও CBI তদন্তের দাবিতে আগেই পথে নেমেছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ। এবার, একই দাবিতে অবস্থানে বসলেন প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক অধ্যাপক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটের বাইরে অবস্থানে বসেন তিনি। বিকেলের দিকে তিনি অসুস্থ বোধ করেন। এরপরই, সহকারী আধ্যাপকরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। আনিস-মৃত্যুর প্রতিবাদে এদিন কলকাতার পাশাপাশি জেলাতেও বিক্ষোভ-মিছিল করা হয়।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আনিসের বাবা সালেম খানের নেতৃত্বে আমতা থানার সামনে জড়ো হন শয়ে শয়ে মানুষ। মিছিলে ছিলেন ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা কাসেম সিদ্দিকিও।সেখানে থানার ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। সেই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে থানায় ঢোকার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। তাতে ধুন্ধুমার বেধে যায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয় বলেও অভিযোগ।
এ দিন দুপুরে মিছিল করে আমতা থানার সামনে পৌঁছয় বিক্ষোভকারীর দল। উত্তেজিত ভিড় থানায় ঢোকার চেষ্টা করে। তাদের বাধা দিতে এগিয়ে আসে পুলিশ। তাতে পুলিশের ব্যারিকেড ধরে টানাটানি শুরু হয়ে যায়। দফায় দফায় ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা হয়। তুলে ফেলে দেওয়া হয় গার্ডরেল। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভকারীদের। সেই সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। তাতে মুহূর্তের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায় আমতা থানার সামনে। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা।