কিয়েভ: আক্ষরিক অর্থেই যুদ্ধের দামামা বেজে গিয়েছে। এ বার আর যুদ্ধ পরিস্থিতি নয়, বরং সর্বশক্তিতে ইউক্রেনের উপর রাশিয়া ঝাঁপিয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ (Russia Ukraine Crisis)। এমন পরিস্থিতিতে মস্কোর সঙ্গে যাবতীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল ইউক্রেন। বৃহস্পতিবার টুইটারে তার আনুষ্ঠানেক ঘোষণা করলেন দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelensky)। বিবেকবোধ সম্পন্ন রুশ নাগরিকদের যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেও আবেদন করেন তিনি।



সীমান্তে যুদ্ধ যত ঘনিয়ে উঠছে, ততই টুইটারে রাশিয়ার বিরুদ্ধে তোপ দেগে চলেছেন জেলেনস্কি। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কথাও টুইটারেই ঘোষণা করেন তিনি। লেখেন, 'রাশিয়ার সঙ্গে সমস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছি। রাশিয়ার যে সমস্ত নাগরিক এখনও পর্যন্ত বিবেকবোধ হারাননি, তাঁদের ইউক্রেনের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ নিয়ে প্রতিবাদ জানানো উচিত।"


আরও পড়ুন: Ukraine Russia War: রুশ আক্রমণ শুরু, কী করবে ইউক্রেন? কী পদক্ষেপ নিতে পারে আমেরিকা বা ন্যাটো?


১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর কম চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়নি রাশিয়া এবং ইউরোপকে। ২০০৪ এবং ২০১৪ সালে কিয়েভে পশ্চিমিপন্থী বিপ্লব যখন তুঙ্গে, তার তীব্র প্রতিবাদ জানালেও, সম্পর্ক ততটা তিক্ত হয়ে ওঠেনি। কিন্তু এই প্রথম কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হল দুই দেশের। 


তবে জেলেনস্কির ঘোষণা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে কূটনৈতিক মহলে। তাঁরা জানিয়েছেন, প্রায় ৩০ লক্ষ ইউক্রেনীয় নাগরিক রাশিয়ায় রয়েছেন। দূতাবাস এবং কনস্যুলেটের মাধ্যমে তাঁদের সবরকমের সহায়তা দিতে বাধ্য ইউক্রেন। তাই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল (Russia-Ukraine Diplomatic Ties)।