কলকাতা: উত্তরপ্রদেশ থেকে বাংলায় ফেরার সময় মুখ্যমন্ত্রীর (chief minister) বিমান বিভ্রাটের কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) বিধানসভায় (bidhan sabha) জানালেন যে কোনও আবহাওয়ার গোলযোগ নয়, তাঁর বিমানের সামনে চলে এসেছিল অন্য কোনও বিমান। অখিলেশ যাদবের হয়ে প্রচারে উত্তরপ্রদেশে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বারাণসী থেকে ফিরছিলেন মমতা। সেই সময়ই এয়ার টার্বুল্যান্সে পড়ে হঠাৎ নেমে আসে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান। তবে এদিন বিধানসভায় মমতা জানান, তাঁর বিমানের কাছাকাছি চলে এসেছিল অন্য বিমান। সংঘর্ষ এড়াতে আচমকা নামাতে হয় বিমানটিকে। প্রায় ৮ হাজার ফুট নামাতে হয় বিমানটিকে। অতি দক্ষতার সঙ্গে পাইলট তা করতে পারায়, বেঁচে যায় বিমান।


বারাণসী থেকে ফেরার সময় মাঝ আকাশে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাট। এয়ার টার্বুল্যান্সে পড়ে একধাক্কায় কয়েক হাজার ফুট নীচে নেমে আসে বিমান। ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। পরিষ্কার আকাশ, তাও হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীর বিমান-বিভ্রাটে আতঙ্ক। যাত্রীদের মধ্যে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। আবহাওয়ার কারণ দেখিয়েছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।


এর আগে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে মমতাকে। তা নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষও। মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভ ঘিরে ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তা নিয়ে মুখ খোলেন দিলীপও। কিন্তু তাঁর বক্তব্য, “নারী কেন, উনি তো বাঘিনী! বাঘিনী আবার নারী হয় নাকি! উত্তরপ্রদেশে গিয়ে নারী হয়ে গেলেন উনি!”         


দিলীপ আরও বলেন, “উনি গিয়েছেন, ভালই করেছেন। কাশী গিয়ে অন্তত দেখে আসুন উন্নয়ন কাকে বলে।  তার পর কালীঘাটকে অন্তত কাশী করার চেষ্টা করে দেখুন। উনি এখানে সবাইকে কালো পতাকা দেখান। এক আধবার নিজেও দেখে বুঝুন যে কেমন লাগে।”