কলকাতা: বাড়ি থেকে গাড়িতে ওঠা থেকে আদালতে প্রবেশ, লাগাাতর কটাক্ষের মুখে পড়লেও, রা কাড়তে চাননি তিনি। কিন্তু কলকাতায় আসার পথে কার্যতই বিধ্বস্ত চেহারা ধরা পড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের  (Mamata Banerjee) স্নেহভাজন, বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল (TMC) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ((Anubrata Mandal Arrested))। এমনকি সিবিআই-এর (CBI)কনভয়ে বসে থাকা অনুব্রতর চোখের কোণে দেখা গেল জলও। বড় বড় শ্বাস ফেলে কান্না চোখের জল আটকানোর চেষ্টা করলেন তিনি। গোটা দৃশ্য ধরা পড়ল এবিপি আনন্দের ক্যামেরায়। 


সিবিআই কনভয়ে চোখে জল অনুব্রতর


আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালত বৃহস্পতিবার অনুব্রতকে হেফাজতে পাঠিয়েছে (Cattle Smuggling Case)। আগামী ২০ অগাস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে থাকবেন তিনি। সেখান থেকে আইনি প্রক্রিয়া মিটিয়ে অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ রওনা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। পথে গলসির কাছে একটি পেট্রোল পাম্পে দাঁড়ায় সিবিআই-এর কনভয়। কিছু দূর এগিয়ে ট্র্যাফিক সিগনালেও দাঁড়ায় সিবিআই-এর গাড়ি। সেই সময় তাঁর চোখে জল দেখা যায়। 



আরও পড়ুন: Anubrata Mandal Arrested: আদালতে জামিনের আবেদন করলেন না অনুব্রত, কারণ জানালেন তাঁর আইনজীবী


গাড়ির কাচ নামিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি ছিল না অনুব্রতর। তাই সংবাদমাধ্যমের একের পর এক প্রশ্ন উড়ে গেলেও, জবাব দেননি একটিরও। বরং মাথায় হাত দিয়ে কখনও বসে থাকতে দেখা যায়। কখনও আবার চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। মাঝে সোজা হয়ে বসে বড় বড় শ্বাস ফেলেন। সেই সময় স্পষ্টতই কাঁদো কাঁদো চেহারা ধার পড়ে তাঁর। চোখের কোণে চিকচিক করে চলও। 


গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁকে সবাই চোর বলছেন, সরাসরি দূরত্ব বাডা়নোর কথা না বললেও, অনুব্রতর ব্যক্তিগত সমস্যার সঙ্গে দলকে জড়ানো উচিত নয় বলে বিবৃতি দেয় তৃণমূল, বিপদে কি তাহলে পাশে নেই দল? গ্রেফতারির আগে মমতার সঙ্গে কি কথা হয়েছে? একের পর এক প্রশ্ন করলেও, উত্তর দেননি অনুব্রত। বরং হাত নেড়ে জানিয়ে দেন, কথা বলেত চান না। এমনকি আঙুল দিয়ে চোখের দিকেও ইঙ্গিত করতে দেখা যায় তাঁকে। 


নিজাম প্যালেসে আনা হচ্ছে অনুব্রতকে


গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতায় নিজাম প্যালেসে এনে তোলা হবে অনুব্রতকে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁকে। এর আগে, অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি দেখার পর অনুব্রতর ভূমিকাও খতিয়ে দেখতে উদ্যোগী হয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তার জন্যই হেফাজতে নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।