কলকাতা: গরুপাচারের তদন্তে নেমেই লটারি-তত্ত্ব সামনে এসেছিল। বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা বার বার কোন মন্ত্রে লটারিতে মোটা টাকা জিতে যাচ্ছেন, তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। অনুব্রত এবং তাঁর কন্য়া সুকন্য়া মণ্ডলের (Sukanya Mondal) গ্রেফতারিতে যখন কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির কথা জানা যাচ্ছে, আবারও ফিরে আসছে সেই লটারি যোগের তত্ত্ব (Cattle Smuggling Case)। 


পাঁচটি লটারিতে প্রায় ২ কোটি টাকার পুরস্কার জিতেছে অনুব্রতর পরিবার


কার আশীর্বাদ কে জানে, কিন্তু তিন বছরে, পাঁচটি লটারিতে প্রায় ২ কোটি টাকার পুরস্কার জিতেছে অনুব্রতর পরিবার। অন্তত এমনটাই দাবি করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে। তদন্তে জানা যায়, ২০১৯ সালে অনুব্রতর সঙ্গে তাঁর মেয়ে সুকন্যার অ্যাকাউন্টেও তিন দফায় লটারি জেতার লক্ষ লক্ষ টাকার পুরস্কারমূল্য ঢোকে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ফের লটারি জয়ের ৫০ লক্ষ টাকা ঢোকে সুকন্যার অ্যাকাউন্টে।


তিন বছরে অনুব্রতর পরিবারে পাঁচটি লটারিতে প্রায় ২ কোটি টাকার পুরস্কার ঢুকেছে বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি করা হয়েছে। গরুপাচার মামলার তদন্তে নেমে প্রথমে, ২০২১ সালে অনুব্রত মণ্ডলের ১ কোটি টাকার পুরস্কার জেতার দাবি সামনে আসে। অভিযোগ ওঠে, লটারির মাধ্যমে সাদা করা হচ্ছে গরুপাচারের কালো টাকা। এ নিয়ে তদন্তে নামে সিবিআই। এর পর পেঁয়াজের খোসার মতো বেরিয়ে আসে একের পর এক লটারি জেতার তথ্য।


আরও পড়ুন: Sukanya Mondal: বাবার পর এবার মেয়ে, অনুব্রতর গ্রেফতারির ৮ মাসের মাথায় মেয়েও গ্রেফতার


সিবিআই সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে লটারি জেতার ১০ লক্ষ টাকা ঢোকে। ওই বছরেই তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে ঢোকে ২৫ এবং ২৬ লক্ষ টাকা। ২০২০-র জানুয়ারি মাসেও অনুব্রত কন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল লটারির ৫০ লক্ষ টাকা। আর অনুব্রত মণ্ডল ১ কোটি টাকার লটারি জিতেছিলেন ২০২১ সালে। এনামুল হকের অ্যাকাউন্টেও লটারি বাবদ ৫০ লক্ষ টাকার হদিশ মেলে।


রহস্যের উন্মোচন ঘটবে কি, প্রশ্ন সকলের


তদন্তকারীদের প্রশ্ন, রাজ্যে যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ লটারির টিকিট কাটেন, সেখানে কখনও একই পরিবারের সদস্যরা কিংবা গরুপাচারে অন্যতম মূল অভিযুক্ত বারবার লটারির পুরস্কার পাচ্ছেন কী করে? এর নেপথ্যে কী রহস্য রয়েছে? এবার সুকন্য়াকে জেরা করে কি সেই রহস্য় উন্মোচন করতে পারবে ED? প্রশ্ন সকলের।