পার্থ প্রতিম ঘোষ, বীরভূম: SDPO অফিসে হাজির হলেন অনুব্রত মণ্ডল। বোলপুর থানার আইসিকে কদর্য ভাষায় হুমকি দেওয়ার ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলকে দু'বার তলব করে পুলিশ। অসুস্থতার কথা বলে দু'বারই হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। কুকথা কাণ্ডের ৭ দিন পর হাজিরা দিলেন কেষ্ট।

IC-কে এই কদর্য ভাষায় হুমকি দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত মণ্ডলকে গত শনি ও রবিবার তলব করেছিল পুলিশ। কিন্তু, অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সেখানে যাননি তিনি। অথচ, শনিবারই দিব্য়ি তৃণমূলের পার্টি অফিসে পৌঁছে গেছিলেন তিনি। ঘটনার ৭ দিন পর অবশেষে বীরভূমের SDPO অফিসে হাজিরা দিলেন কেষ্ট। এদিন বেলা ৩টে ২৫ মিনিট নাগাদ SDPO অফিসে পৌঁছন তিনি। শুরু হয়েছে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া। অনুব্রত পৌঁছানোর আগে থেকেই কড়া নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয় SDPO অফিস চত্বর। সূত্রের খবর, এদিন তিনি নিজেই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে, সেখানে চলে আসেন। তবে যে পাইলট কার তিনি ব্যবহার করেন সেই গাড়িতে তিনি আসেননি। সবার চোখ এড়িয়ে এদিন অফিসে প্রবেশ করেন তিনি। SDPO অফিসের ভেতরে রয়েছে শান্তিনিকেতন থানা। পুলিশ লাইনের গেট দিয়ে শান্তিনিকেতন থানার পাশ দিয়ে গিয়ে প্রবেশ করেন SDPO অফিসে। অর্থাৎ মূল গেট নয়, পিছনের গেট দিয়ে এদিন তিনি প্রবেশ করেন। 

 বোলপুরের IC-কে কদর্য কথা। মা-স্ত্রীয়ের প্রসঙ্গ তুলে নোংরা মন্তব্য। সেখানে এমন শব্দবন্ধ ব্যবহার করেছেন অনুব্রত মণ্ডল, যা সম্প্রচারের অযোগ্য। এই ঘটনায় দুটি জামিন অযোগ্য ধারা-সহ মোট ৪টি ধারায় মামলা। ঘটনার পর গত ৭ দিন দিন ধরে অন্তরালেই ছিলেন কেষ্ট মণ্ডল। তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে পরপর দুবার পুলিশ তলব করে। পুলিশের তলব এড়িয়ে শনিবার পার্টি অফিসে হাজির ছিলেন অনুব্রত। রবিবারও তাঁকে ফের তলব করা হয়। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও হাজিরা দেননি। অসুস্থতার কথা বলে হাজিরা এড়িয়ে যান কেষ্ট। সকাল ১১টায় বোলপুরের এসডিপিও অফিসে তলব করা হয় কেষ্টকে। কিন্তু ডেডলাইন পেরিয়ে গেলেও পুলিশের দ্বিতীয় সমনে হাজিরা দেননি অনুব্রত। ওইদিন SDPO অফিসে হাজির হন কেষ্ট ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল নেতা ও আইনজীবী। অনুব্রত মণ্ডল বেডরেস্টে আছেন বলে বোলপুরের এসডিপিও অফিসে ৩১ মে  মেডিক্য়াল সার্টিফিকেট জমা দেন তাঁর অনুগামীরা। চিকিৎসক হিটলার চৌধুরীর দেওয়া মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। যেখানে ৫ দিনের বেড রেস্ট উল্লেখ করা হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলকে চিকিৎসকের দেওয়া বেডরেস্টের সময়সীমা শেষ হয়েছে আজকে। এরপরই প্রশ্ন ওঠে তাহলে কী করবেন এবার অনুব্রত মণ্ডল? পুলিশের ভূমিকাই বা কী হবে? এসবের মধ্যে সংবাদমাধ্যমের চোখ এড়িয়ে SDPO অফিসে প্রবেশ করেন তৃণমূল নেতা।