প্রকাশ সিনহা, বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি : আজ দিল্লিতে ইডি ( ED ) দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন না অনুব্রত-কন্যা ( Anubrata Mondal ) সুকন্যা মণ্ডল ( Sukanya Mondal ) । ইডি সূত্রে খবর, সুকন্যা জানিয়েছেন, তাঁর কিছু সমস্যা ও পূূর্ব নির্ধারিত কাজ থাকায় আজ যেতে পারছেন না। তাঁকে সময় দেওয়া হোক। ইডি সূত্রে খবর, অনুব্রত-কন্যাকে ফের তলব করা হবে।
এর আগে, অনুব্রতর মেয়ে জানান, সব লেনদেনের কথা বাবা এবং হিসেবরক্ষক জানেন, তাঁরাই বলতে পারবেন। অন্যদিকে অনুব্রত বলছেন, তাঁর কিছু মনে পড়ছে না। তাই অনুব্রতর মেয়ে, হিসেব রক্ষক সহ আরও ১২ জনকে তলব করা হয়।
মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলবার টানা ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করে ইডি। মঙ্গলবার দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডলের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। ইডি সূত্রে দাবি, তদন্তে অসহযোগিতা এবং তথ্য গোপনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আজ তাঁকে রাউস অ্য়াভিনিউ কোর্টে পেশ করবে ইডি। সূত্রের খবর, প্রয়োজনে অনুব্রত, সুকন্য়া ও মণীশ কোঠারি, এই তিনজনকে একসঙ্গে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পরিকল্পনা রয়েছে ইডি-র।
গরুপাচারকাণ্ডে জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি,
ব্য়াঙ্কে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির কোটি কোটি টাকা। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস কী? এগুলো কি গরু পাচারের টাকা?
তারই তদন্তে এদিন, দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডলের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁর হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায়, সমস্ত নথিপত্র নিয়ে দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দেন চাটার্ড অ্য়াকাউন্ট্য়ান্ট মণীশ। ED সূত্রে দাবি প্রথমে এক ঘণ্টা মণীশ কোঠারিকে একাকী, এরপর, অনুব্রত মণ্ডলের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ED সূত্রে দাবি, এর আগে, জেরার মুখে অনুব্রত বারবার দাবি করেন, হিসেবপত্রের বিষয়ে যা কিছু দেখার, দেখতেন মণীশ। জিজ্ঞাসাবাদে অনুব্রতর মেয়ে সুকন্য়া মণ্ডলও দাবি করেন, তাঁর এবং তাঁর বাবার সমস্ত হিসাব দেখেন মণীশ আঙ্কল। ED-সূত্রে দাবি, এদিন মণীশ কোঠারির মুখোমুখি বসালে, অনুব্রত মণ্ডল বলেন ' আমি রাজনীতি করি, আমি টাকা পয়সার লেনদেনের বিষয়ে কিছু জানি না। ও (মণীশ) আমাকে যেখানে টাকা দিতে বলত, আমি তাই করতাম। লেনদেনের বিষয়ে ওই সব জানত। '
ED-সূত্রে দাবি, ২০১৮ সালের আগে পর্যন্ত অন্য এক ব্যক্তি অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক ছিলেন। ২০১৮ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর মণীশ কোঠারি অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক হিসাবে কাজ শুরু করেন। ২০১৮ সালের পর থেকেই ভুয়ো কোম্পানিগুলো খোলা হয়। সূত্রের দাবি,
ভুয়ো কোম্পানির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, কিছু বলেননি মণীশ কোঠারি।