আবির দত্ত এবং পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দফায় দফায় জেরা করছেন সিবিআই (CBI) এর অফিসাররা। তাঁর সম্পত্তির উৎস কী, এখন এটাই খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। যদিও, CBI সূত্রে দাবি, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না অনুব্রত মণ্ডল। কোনও উত্তর দিচ্ছেন না। চুপ করে থাকছেন। শুধু তাই নয়, রীতিমত গুম মেরে রয়েছেন তিনি।
এমনকি আইনজীবীদের সঙ্গেও বিশেষ কথাবার্তা বলছেন না, এমনটাই খবর সূত্রের। অন্যদিকে, আদালতের নির্দেশে ৪৮ ঘণ্টা পর আজ ফের অনুব্রতর মেডিক্যাল টেস্ট হওয়ার কথা। সিবিআই সূত্রে খবর, মেয়ের সঙ্গে বারবার কথা বলতে চাইছেন অনুব্রত। তাতে রাজি নয় সিবিআই। মূলত দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বিপুল সম্পত্তি সংক্রান্ত বয়ানকে সামনে রেখেই আজ অনুব্রতকে জেরা করতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। খবর সূত্রের।
বর্তমানে সিবিআইয়ের নজরে অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তি! এই সম্পত্তি কেনার টাকা কোথা থেকে এল? অনুব্রত মণ্ডলের আয়ের বিষয়টিই খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। সূত্রের দাবি, CBI’এর চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত, BSF কমান্ডান্ট সতীশ কুমার মুর্শিদাবাদে পোস্টিং থাকাকালীন, বীরভূম হয়ে প্রায় ২০ হাজার গরু পাচার হয়েছে। গরু পিছু টাকা নেওয়া হত। ইলামবাজারের পশু হাট থেকে গরু পাচার হত বাংলাদেশে। সেফ প্যাসেজ দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া হত। সেই টাকা পৌঁছত প্রভাবশালীদের কাছে। সূত্রের খবর, এ’দিন এই বিষয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করা হয়।
আরও পড়ুন, তৃণমূলের তিন মন্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধির নিয়ে তরজা, নথি প্রকাশ করে অভিযোগ সিপিএম-এর
সূত্রের দাবি, ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল, এই ৩ বছরে খুব কম সময়ে অনুব্রত ও তাঁর স্ত্রী-মেয়ের নামে প্রচুর সম্পত্তি কেনা হয়েছে। সূত্রের খবর, এদিন সেই বিষয়েও অনুব্রত মণ্ডলকে প্রশ্ন করা হয়। জানতে চাওয়া হয় তাঁর এই সম্পত্তির উৎস কী? অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তির পরিমাণ তাঁর আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা, তাও গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছে। CBI সূত্রে দাবি, তদন্তে অসহযোগিতা করছেন অনুব্রত মণ্ডল। কোনও উত্তর দিচ্ছেন না। চুপ করে থাকছেন। আদালতের নির্দেশ মতো এদিনও আধ ঘণ্টা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন অনুব্রত মণ্ডল।