ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা : বুধবার অনুব্রত মণ্ডলের ১৪ দিনের সিবিআই হেফাজত শেষ হচ্ছে। মঙ্গলবার  ফের আসানসোল আদালতে পেশ করা হবে অনুব্রতকে । তাই আজ সকাল সাড়ে ৭ টা নাগাদ, নিজাম প্যালেস থেকে বের করা হয় অনুব্রতকে। 



' মমতা যা করেছেন, অনেক করেছেন ' 
বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার বিরুদ্ধে  সিবিআই এর অভিযোগ তিনি নাকি তদন্তে সাহায্য করছেন না ! তাই কি ? কেমন আছেন তিনি ? একের পর এক প্রশ্ন উড়ে আসে তাঁর দিকে। জানালেন, তিনি ভাল আছেন। তিনি জানান, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা করেছেন, অনেক করেছেন।  সেই সঙ্গে অনুব্রত বলেন, তিনি বিচারককে বলবেন, তাঁকে হুমকি-চিঠির ঘটনার তদন্ত সিবিআইকে দিয়ে করানো হোক ! 


আদালতে যাওয়ার পথে এ দিন নিজাম প্যালেসের বাইরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন অনুব্রত। শরীর কেমন আছে জানতে চাইলে বলেন, "শরীর ভাল।" জামিন নিয়ে কি আশাবাদী তিনি? অনুব্রতর উত্তর, "সেটা কোর্ট বলবে।" এর আগে আসানসোল আদালতে অনুব্রতকে প্রভাবশালী বলে উল্লেখ করেন গোয়েন্দারা। জামিন পেলে তিনি তদন্ত প্রভাবিত করতে পারেন বলে জামিনের বিরোধিতা করেন। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে অনুব্রত বলেন, "সিবিআই-এর তোতাবুলি।"


বিচারকের হুমকি চিঠি পাওয়ার বিষয়টি সামনে আসার পর গরুপাচার মামলার তদন্ত বাংলার বাইরে অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানায় বিজেপি।  নিজাম প্যালেস থেকে বেরোনোর সময় অনুব্রতকে প্রশ্ন করা হয়, তাঁকে যদি অন্য রাজ্যে নিয়ে গিয়ে যেতে চায় সিবিআই ? তিনি এক্কেবারে চেনা দাপটে বলেন, এরকম কোনও নিয়ম আছে নাকি ? 


তদন্তে সহযোগিতা? 
সূত্রের দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের জেল হেফাজতের আবেদন করবে সিবিআই। আগাগোড়া বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা দাবি করে এসেছেন, তিনি নাকি তদন্তে সহযোগিতাই করছেন। কিন্তু সূত্র দাবি করছে ঠিক উল্টোটা। সিবিআই সূত্রে দাবি, তদন্তে একেবারেই সহযোগিতা করছেন না অনুব্রত মণ্ডল। তাই অনুব্রতকে জেল হেফাজতে চাইতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর আগে গত ২০ অগাস্ট, আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। 


CBI এর দাবি


CBI সূত্রে দাবি, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশে সব থেকে বেশি গরু পাচার হয়েছে। আর এই সময়ের মধ্যেই অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে রকেট গতিতে। সূত্রের দাবি, অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর পরিবারের নামে কী কী সম্পত্তি রয়েছে? সেগুলি কবে কেনা হয়েছিল? কত টাকায় কেনা হয়েছিল? সম্পত্তিগুলি কার নামে কেনা বা লিজ নেওয়া হয়েছিল? দাগ ও খতিয়ান নম্বর ধরে এই বিষয় গুলিই খতিয়ে দেখা হয়।