সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: আলাদা এলাকায় বাজ পড়ে (Lightning) ৪ মহিলার মৃত্যু (death) হল পুরুলিয়া (purulia) জেলায়। বজ্রাহত হয়ে মারা যায় ১৯টি ছাগল ও বেশ কয়েকটি গবাদি পশু।


কী ঘটেছিল?
মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ কেন্দাঁ থানার জামবাইদ গ্রামের বাসিন্দা ভারতী সহিস (৪৯) মাঠে ধানের চারা লাগাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গেই কাজ করছিলেন তুষ্ট সহিস (৫৬)। হঠাৎ বজ্রপাত। জখম হন দুজনেই। তাঁদের উদ্ধার করে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে এলেও ভারতী সহিসের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন তুষ্ট সহিস। অন্য দিকে, প্রায় একই সময়ে বরাবাজার থানার ফতেপুর গ্রামে বাজ পড়ে ১৯টি ছাগল মারা যায়। বরাবাজারেরই সিমুদরি গ্রামের মাঠে ধানের চারা রোপণ করছিলেন কিরণ মাহাতো। বাজ পড়ে মৃত্যু হয় ষাট বছরের প্রৌঢ়ার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আর এক জন। নাম গুজর মাহাতো  (৫৮)। বিপর্যয় এতেই থামেনি। কার্যত এক সময়ে বলরামপুর থানার সুপুডি গ্রামের মাঠে কাজ করার সময় বজ্রাহত হয়ে মৃত‍্যু হয় বাসকি মুর্মু নামের এক মহিলার। অন্য দিকে, মানবাজার থানার কাপরা গ্রামে অষ্টমী সরেন নামে ৩৫ বৎসরের এক গৃহবধূও মারা যান। তিনিও ঘটনার সময় মাঠে কাজ করছিলেন। ওই ঘটনায় কয়েকটি গবাদি পশুরও মৃত্যু হয়েছে। 


মর্মান্তিক ঘটনা আগেও...
গত ১ জুলাই রাজ্যের একাধিক জেলায় বাজ পড়ে মারা গিয়েছিলেন ৭ জন। পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর মিলিয়ে ঘটনাগুলি ঘটে। শোনা গিয়েছিল, দিঘার ক্ষণিকা ঘাটে  স্নান করতে নেমে বজ্রাঘাতে মারা যান দুই পর্যটক। দুপুরের মেঘলা আবহাওয়ার মাঝে বাজ পড়ার জেরে কার্যত ঝলসে যায় তাঁদের শরীর। পুরুলিয়ায় আবার ভিন্ন ভিন্ন থানা এলাকায় ৩ জন মহিলার মৃত্যু হয়। ১ কিশোরী-সহ ৩ জন মহিলা গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতেও বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। এর মধ্যে এক জন পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। 
দু-মাসও পেরোল না। কার্যত এক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল ফের। এবার পুরুলিয়াতেই বাজ পড়ে মারা গেলেন ৪ জন, প্রাণ হারাল নিরীহ, অবলা প্রাণীও। শোকের আবহ জেলার নানা প্রান্তেই। পরিজন হারিয়ে কার্যত স্তব্ধ মৃতদের পরিবার।  


আরও পড়ুন:'ওটা বিজেপি করেছে', বিচারককে হুমকি চিঠির অভিযোগে পাল্টা অনুব্রতর