প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: ভারত সেবাশ্রমের (Bharat Sevashram Sangha) জমিও জোর করে হাতিয়ে নিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)? ঠিক কী হয়েছিল, জানতে শান্তিনিকেতনে ভারত সেবাশ্রমে সিবিআই। অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে জোর করে কম দামে আশ্রমের জমি হাতানোর অভিযোগ। কেষ্ট-কন্যার সংস্থার নামে জমি হস্তান্তরের নেপথ্যে কী? জানতে চায় সিবিআই (CBI)। চাপ দিয়ে কম টাকায় আশ্রমের ধানজমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ।
ঠিক কী অভিযোগ?
জানা যায়, গরু পাচারকাণ্ডের (Cow Smuggling) তদন্ত করতে গিয়ে বোলপুরের (Bolpur) ভারত সেবাশ্রম সংঘে এসে পৌঁছন। সিবিআই এর তিন আধিকারিকরা ভারত সেবাশ্রম অফিসের ভিতরে মহারাজদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছেন। সিবিআই সূত্রে খবর, বোলপুরের বেশ কয়েক বিঘে জমি ভারত সেবাশ্রমের নামে ছিল। অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের যে সংস্থা সেই কোম্পানির নামে কেনা হয়। জানা যায় এই জমি ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ থেকে দান হিসেবে নিয়েছিল। এও জানা গিয়েছে, বাজার দরের থেকে অনেক কম টাকা দিয়ে এই জমি নেওয়া হয়েছিল। এই অভিযোগ পাওয়ার পর রেজিস্ট্রি অফিস থেকে জমির দলিল খতিয়ে দেখা হয়।
বিল্ডিং প্ল্যান পাস করাতে গেলে লাগে অনুদান। বোলপুর পুরসভার বিরুদ্ধে এই অভিযোগে হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। গোটা চক্রের মাথা অনুব্রত মণ্ডল, এমনটাই অভিযোগ মামলাকারীর।
আরও পড়ুন, "আমাকে হয়ত পরে মেরে ফেলতে পারেন, তাতে আমার কিছু যায় আসে না", এবিপি আনন্দে বিস্ফোরক বিচারপতি
বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ করা হয়। মামলাকারীর অভিযোগ, বোলপুর পুরসভার বিল ছাপিয়ে টাকা নেওয়া হত। কাটমানি না পেলে বিল্ডিং প্ল্যান পাস করানো হত না। অভিযোগ মামলাকারীর। সব হিসাব পুরসভার খাতায় আছে, বেআইনিভাবে কিছু নেওয়া হয়নি, গোটা প্রক্রিয়া অনলাইনে হয়, দাবি বোলপুর পুরসভার।
এদিকে, অনুদান নেওয়া বেআইনি নয়, বাজেটেও সংস্থান থাকে। দুঃস্থদের উন্নয়নে এই টাকা খরচ করা হয়। আদালতে দাবি রাজ্যের। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শেষ, রায়দান স্থগিত।