কলকাতা: নামে, বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে জানা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে (CBI)। কিন্তু যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দিলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। শনিবার সকালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য যাওয়ার সময় জানিয়ে দিলেন, কোনও বেনামি সম্পত্তি নেই তাঁর। শুধু তাই নয়, তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগও কার্যতই উড়িয়ে দিলেন অনুব্রত। জানালেন, ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করছেন তিনি।
বেনামি সম্পত্তি, ১৭ কোটির ফিক্সড ডিপোজিট, অভিযোগ খারিজ অনুব্রতর
শনিবার সকালে নিজাম প্যালেস থেকে বেরনোর সময় এমন মন্তব্য করেন অনুব্রত। ১৭ কোটির ফিক্সড ডিপোজিট উদ্ধার হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চান সাংবাদিক। সিবিআই যা বলছে, তাতে কী জবাব তাঁর, প্রশ্ন করা হয় অনুব্রতকে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘বলতে দিন।’’ বেনামি সম্পত্তির অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করলে বলেন, ‘‘কোনও বেনামি সম্পত্তি নেই।’’
গোড়া থেকেই অনুব্রতর বিরুদ্ধে তদন্ত অসহযোগিতার অভিযোগ করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাহলে কি সত্যিই তদন্তে অসহযোগিতা করছেন তিনি, নাকি পূর্ণ সহযোগিতা করছেন, প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। জবাবে অনুব্রত বলেন, ‘‘১০০ শতাংশ’’, অর্থাৎ তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন বলে জানালেন তিনি।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: রাইস মিলের গ্যারাজে থাকা গাড়ি, মিলল অনুব্রত-যোগ
গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাঁর একাধিক ঠিকানায় চালানো হয়েছে তল্লাশি। তাতে অনুব্রত-সহ ঘনিষ্ঠদের প্রায় ১৬ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposit) বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা যায়। এ ছাড়াও নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি, বিলাসবহুল গাড়ি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার হদিশ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে গোয়েন্দা সূত্রে। কিন্তু এ দিন কার্যত সব অভিযোগ খারিজ করলেন অনুব্রত।
আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালেত আজ তোলা হবে অনুব্রতকে
এ দিন সকাল ৭টা বেজে ৫ মিনিট নাগাদ নিজাম প্যালেস থেকে বার করা হয় অনুব্রতকে। স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে কমান্ড হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেয় সিবিআই এবং প্রায় ৫০ জন সিবিআই জওয়ানের কনভয়। সেখান থেকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হবে অনুব্রতকে। সেখানে কেস ডায়েরি জমা দিতে পারে সিবিআই। অর্থাৎ এ যাবৎ তদন্তে যে যে তথ্য সামনে এসেছে, তার বিশদ তথ্য। অনুব্রতর হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন জানানো হতে পারে গোয়েন্দাদের তরফে।