সুকান্ত মুখোপাধ্যায় এবং ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বোলপুর: বোলপুরের ভোলে ব্যোম রাইস মিলের গ্যারাজে খোঁজ মিলল অনুব্রতর একাধিক গাড়ির। আদতে ওই রাইস মিলের গ্যারাজ থেকে এমন গাড়ি মিলেছে, যা অনুব্রত মণ্ডলকে ব্য়বহার করতে দেখা গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্টিকার লাগানো গাড়িও রয়েছে গ্যারাজে।


কোন কোন গাড়ি:
WB 54U 6666--এই নম্বরের গাড়িতেই ৭ অগাস্ট চিনার পার্কে এসেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। ওই ‘ফোর্ড এন্ডেভার’ গাড়িটিরই খোঁজ মিলেছে  ভোলে ব্যোম রাইস মিলে। অনুব্রতর ব্যবহার করা আরও একটি গাড়ি রাইস মিলের গ্যারাজে রয়েছে। WB 54Z 4176 নম্বরের এসইউভি-ও ভোলে ব্যোম রাইস মিলে দেখা গিয়েছে। এই গাড়িতেই এসএসকেএমে এসেছিলেন বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি।


কোনও গাড়ি অনুব্রতর নামে নয়:



  • WB 54U 6666 নম্বরের ফোর্ড এন্ডেভার গাড়িটি প্রবীর মণ্ডলের নামে।

  • WB 54Z 4176 নম্বরের এসইউভি সতীর্থ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে।

  • গ্যারাজে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্টিকার লাগানো এসইউভি।

  • WB 54U 6666 নম্বরের গাড়িতেই ৭ অগাস্ট চিনার পার্কে এসেছিলেন অনুব্রত।

  • WB 54U 6666 নম্বরের ‘ফোর্ড এন্ডেভার’ ভোলে ব্যোম রাইস মিলের।

  • WB 54Z 4176 নম্বরের এসইউভি-ও ভোলে ব্যোম রাইস মিলের। এই গাড়িতেই এসএসকেএমে এসেছিলেন বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি।

  • WB54W 9555 গাড়িটিও অনুব্রত মণ্ডলের নামে নয়।



সকালেই এই রাইস মিলে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ সেখানে ঢুকতে পারছিলেন না তাঁরা। গেট খুলছিলেন না কর্মীরা। প্রথমে বলা হয়েছিল, তাঁদের কাছে সিবিআই আসার কোনও তথ্য নেই। তারপরে প্রায় মিনিট চল্লিশ পরে মিলের কর্মীরা আসেন। খুলে দেওয়া হয় গেট। তাঁরা তখন দাবি করেন, তাঁদের কাছে চাবি ছিল না। চাবি এনে তারপর গেট খোলা হয়। তারপর থেকে সেখানে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। 


কেন এখানে তল্লাশি?
ভোলে ব্যোম রাইস মিলেই কেন গেল সিবিআই? গরু পাচারের তদন্তের সঙ্গে কী যোগ রাইস মিলের? উত্তর পেতে গেলে যেতে হবে কয়েক বছর পিছনে। ২০১৭-সালে রাইস মিল কেনা হয় মণ্ডল পরিবারের নামে। এত বড় চালকল কেনার টাকা কোথা থেকে পেল মণ্ডল পরিবার? একের পর এক সম্পত্তি কেনার টাকার উৎসই বা কী? সেই উত্তর খুঁজতে এদিন সেখানে গিয়েছ সিবিআই। যেখানে রাইস মিল রয়েছে, সেই ঠিকানাতেই একাধিক সংস্থার হদিশ মিলেছে। সেই সংস্থাগুলির মালিকানা রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের পরিবারের সদস্যদের নামে। ওই সংস্থাগুলির শেয়ার ক্যাপিটালের পরিমাণও চমকে দেওয়ার মতো। একই ঠিকানায় একাধিক সংস্থার নথি মেলায় প্রশ্ন উঠছে। ওই সংস্থাগুলি তৈরির টাকা কোথা থেকে এসেছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সব মিলিয়ে একাধিক তথ্যের খোঁজে ওই রাইস মিলে তল্লাশি শুরু করেছে সিবিআই।


কংগ্রেসের খোঁচা:
কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, 'দিদির সরকার। এরকম অনুব্রতই তৈরি করার কথা বলেছেন দিদি। এরকম লাখ লাখ অনুব্রত নাকি তৈরি হবে। বাংলার ভবিষ্যত ঝরঝরে।'


আরও পড়ুন: 'উনি একা পাপের সঙ্গে যুক্ত নন', পার্থ-র কাছে বাকিদের নাম জানতে চাইলেন দিলীপ