সমীরণ পাল, আশাবুল হোসেন, শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা : দুজনেই জনপ্রতিনিধি। দুজনেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন। এবার মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে কার্যত বোমা ফাটালেন ব্য়ারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং! বিরোধীদের প্রসঙ্গ টেনে তাঁর মুখেও উঠে এল গটআপের কথা! 


ফের বিস্ফোরক অর্জুন সিংহ। আগে মুখ খুলেছিলেন দলীয় নেতাদের নামে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে । এবার তাঁর মুখে দলের মধ্যেই 'গট আপ'-এর কথা !  আর এই পরিস্থিতিতে বলাই বাহুল্য, পঞ্চায়েত ভোটের আগে একের পর এক নেতা মুখ খোলায় অস্বস্তি বাড়ছে শাসক দলের।                   

আরও পড়ুন : 


চৈত্র অমাবস্যা, মঙ্গলবার, সফল হতে এমন তিথিতে এই বিশেষ উপায়ে অর্চনা করুন বজরঙ্গবলীকে


বাম-কংগ্রেস লাগাতার বিজেপি-তৃণমূল গটআপ গেমের অভিযোগে সরব হচ্ছে! আর তাদের সেই অভিযোগের প্রসঙ্গ তুলে ধরেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন অর্জুন সিং। সেইসঙ্গে বাম সরকারের শেষের প্রসঙ্গ টেনেও, কার্যত খোঁচা দিলেন দলীয় নেতৃ্ত্বকে। কার্যত তীক্ষ্ণ বান ছুড়লেন অর্জুন নিজের দলের দিকেই !'বললেন, 'ভোটের দিন ১৭টি বুথে আমাদের এজেন্ট ছিল না সাগরদিঘিতে। কারণটা কী? ওভার কনফিডেন্স। আমরা জিতে যাব। ও কোনও ব্যাপার নেই। আমরা ক্ষমতায় আছি। আমাদের কথা পুলিশ শুনবে। আমরা ক্ষমতায় থাকব। এই ওভার কনফিডেন্স ২০০৮ সালে কিন্তু বামফ্রন্টেও এসেছিল।' 



এখানেই থামেননি। তৃণমূল নেতৃত্বের অস্বস্তি আরও বাড়িয়েছেন অর্জুন। 'বিরোধীরা প্রচারে এগিয়ে আছে। আমরা এগিয়ে আছি কোথায়? রফিকের পা কীভাবে কাটব, হাজি নুরুলের পা-টা কীভাবে কাটব, বাবলুকে কীভাবে কোণঠাসা করব, সারাদিন এর মধ্যে লেগে আছে। আর বিরোধী কী প্রচার করছে, বাবুল সুপ্রিয় বিজেপিরও মিনিস্টার ছিল, আর এখানেও মিনিস্টার আছেন। দিদিমণি একটা গটআপ করে নিয়েছেন। এভাবে প্রচার চলছে তলেতলে। আমরা কিছু বলতে পারছি? কিছুু বলতে পারছি না! ' 


দলের একাংশের বিরুদ্ধেই তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অর্জুন। তিনি বললেন, ' আমডাঙায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ আছেন। এখানে বারবার আমার বিধায়ককে বলি, যে আমাদের সাংগঠনিক ব্যবস্থাটা কোথাও না কোথাও ত্রুটি হচ্ছে। কেউ কথা শুনবে না, সব কিছু করে দখল করে জিতব। তার কৈফিয়ত ২০২৪-এ এমপি ইলেকশনে দিতে হবে।' 


এরই মধ্যে শুধু দক্ষিণবঙ্গেই নয়, উত্তরবঙ্গেও নেতা মুখ খোলায় অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলের। তৃণমূল দলের অন্দরেই এই সব ক্ষোভ সামাল দেবে কী করে, সেটাই দেখার।