রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ কোচিং সেন্টারের (Coaching Centre) শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সল্টলেকের (Saltlake) গেস্ট হাউসে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ। অশ্লীল ভিডিও তুলে ভাইরাল (Viral) করার হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিধান নগর মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার শিক্ষক।
ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে: অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম প্রিযস সিংহ সেঙ্গার। সল্টলেকের একটি কোচিং সেন্টারে পড়াত ওই শিক্ষক। অভিযোগ, ওই শিক্ষক পড়ানোর জন্য সল্টলেকের বাড়িতে ডেকে পাঠায় ছাত্রীকে। সেখানেই ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী অশ্লীল ছবি তুলে রেখে ভাইরাল করার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। জানা গিয়েছে এরপরই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই তরুণী। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিধান নগর মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে বিধান নগর মহিলা থানার পুলিশ। ফোন নম্বরের সূত্র ধরে মধ্য প্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়। আজ তাকে বিধাননগর আদালতে তোলা হয়। নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
দিন কয়েক আগে নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় শ্রীরামপুর কলেজের ইতিহাসের অধ্যাপককে। পুলিশ সূত্রে খবর, ১৭ বছরের ওই কিশোরীর বাবা অধ্যাপকের পূর্ব পরিচিত। সম্প্রতি পড়াশোনার জন্য ছোট মেয়েকে অধ্যাপকের বাড়িতে রেখে তিনি কাজের সূত্রে মুম্বই চলে যান। অভিযোগ, সেই সুযোগে নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ করেন অধ্যাপক। হিন্দমোটরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে শ্রীরামপুর মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। আজ সকালে অভিযুক্ত অধ্যাপককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়।
স্পায়ের আড়ালে মধুচক্র চালানোর অভিযোগ: এদিকে সল্টলেকের এফ ডি ব্লকে স্পায়ের আড়ালে মধুচক্র চালানোর অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে বিধাননগর কমিশনারেটে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই স্পা-তে কর্মরত এক তরুণী। গত মাসেই এই স্পা-তে কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, কাজে যোগ দেওয়ার পরই তাঁকে মধুচক্রে যুক্ত হওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। এমনকি তাঁকে যৌন হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ। প্রতিবাদ করায় প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলেও দাবি ওই তরুণীর। চক্রের নেপথ্যে কারা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।