রুমা পাল, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও উজ্জ্বল মুখোপাধ্য়ায়: কে হবেন নতুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার? প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার নাম রাজ্য সরকারের তরফে রাজভবনে পাঠানো হলেও, এখনও তাতে পড়েনি সিলমোহর। তবে কি এবার নয়া রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়েও রাজ্য সরকার এবং রাজভবনের সংঘাত সামনে আসছে? উঠছে প্রশ্ন (WB Election Commissioner)। 


রাজ্য়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) কবে হবে? কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হবে, নাকি রাজ্য় পুলিশ দিয়ে? এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বহুলাংশে রাজ্য় নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকে। তাই সেই কমিশনের মাথায় কাকে বসানো হচ্ছে তা সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্য় নির্বাচন কমিশনার নিরপেক্ষ হবেন?
নাকি শাসক দলের পক্ষে পক্ষপাতদুষ্ট? শাসক দল কি বেছে বেছে নিজের ঘনিষ্ঠ আমলাদেরই এই পদে বসান? এ নিয়ে বিতর্ক বারবার হয়েছে। সেই আবহেই রাজ্য় নির্বাচন কমিশনার বদল হতে চলেছে।


আর তা নিয়েই কি রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজভবনের দ্বন্দ্ব দেখ দিয়েছে? আগামী ২৮ মে শেষ হচ্ছে বর্তমান রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের কার্যকালের মেয়াদ। নবান্নের তরফে নতুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে পাঠানো হয়েছে প্রাক্তন মুখ্য়সচিব রাজীব সিনহার নাম। গত ১৮ মে রাজ্যপালের কাছে নাম পাঠানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।


আরও পড়ুন: Panchayat Elections 2023: সাগরদিঘি জুগিয়েছে অক্সিজেন, কর্নাটকে বেড়েছে আত্মবিশ্বাস, তাতেই কি বাংলায় তাল কাটছে বাম-কংগ্রেস জোটে!

কিন্তু তার পর পাঁচ দিন কেটে গেলেও রাজ্যের এই নামে সিলমোহর দেয়নি রাজভবন। আগামী ১৮ মে-র মধ্যেই এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজ্য়পালকে। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সংবিধানের ৩২৪(১) ধারায় নির্বাচন কমিশনকে রাজ্যে রাজ্যে বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সংবিধান সংশোধন হওয়ার পর ২৪৩-কে ধারায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেও পঞ্চায়েত এবং পুরভোট পরিচালনার জন্য একই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু সে সব খাতায়-কলমেই। তাই এক্ষেত্রে রাজ্য় নির্বাচন কমিশনার কী ভূমিকা নিচ্ছেন, তার ওপর অনেককিছু নির্ভর করে। যেমনটা মীরা পাণ্ডের ক্ষেত্রে হয়েছিল। ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যসচিব পদে ছিলেন রাজীব সিনহা। এই মুহূর্তে শিল্প পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। 

সূত্রের খবর, রাজ্যের নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসাবে রাজীবের নামে সিলমোহর দেওয়ার আগে বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল ১৪ মে। বর্তমানে মে মাস শেষ হতে চললেও, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। নতুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের নামেও এখনও পড়েনি সিলমোহর। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত নামে রাজ্য়পালের সম্মতি দেওয়াই প্রথা।