কলকাতা: নিয়োগের দাবিতে পথে নামাই শুধু নয়, আমরণ অনশনে বসেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা (TET Agitation)। নিয়োগপত্র (Recruitment) হাতে না পাওয়া পর্যন্ত উঠবেন না বলে জানিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সেই অনশন-আন্দোলন তুলে দেয় পুলিশ। তার পর থেকে উত্তাল গোটা রাজ্য। রাজ্য সরকার এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই। মধ্যরাতে আন্দোলন তোলা নিয়ে নিন্দায় সরব হয়েছেন বিশিষ্ট জনেরাও।


অনশন-আন্দোলন তুলে দেওয়া নিয়ে প্রশ্নের মুখে সরকার


তা নিয়ে টানাপোড়েন চরমে উঠেছে। এক দিকে,  আন্দোলনকারীদের দাবি ন্যায্য নাকি অন্যায্য, তা নিয়ে  চর্চা শুরু হয়েছে। অন্য দিকে, আদালতকে টপকে তাদের কিছু করার নেই বলে যেমন বলে জানিয়ে দিয়েছে পর্ষদ।


কিন্তু নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা নিয়ে ঠিক কী বলেছে আদালত (Calcutta High Court)! দেখে নেওয়া যাক একনজরে-


ছিল ০....হয়ে গিয়েছে ৫৩! অথবা ছিল ১....হয়ে গিয়েছে ৫০! আবার ২ হঠাৎ করে হয়ে গিয়েছে ৫২! SSC-র শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিতে, কী ভাবে অযোগ্যদের পরীক্ষার নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, তার রিপোর্টে এমনই উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে সেই রিপোর্ট জমা দিয়েছে CBI। আদালতে সিবিআই জানায়, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশে প্রচুর সাদা খাতা জমা দেওয়া হয়েছে। প্রচুর খাতায় শুধুমাত্র ৫-৬টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। একই জিনিস হয়েছে গ্রুপ C ও গ্রুপ D’তেও।


আরও পড়ুন: Sujan Chakraborty: 'হিংস্র মমতা প্রশাসন, মহিলাদেরও নিস্তার নেই', টেট-আন্দোলন ইস্যুতে বিস্ফোরক সুজন


যে রিপোর্টের প্রেক্ষিতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, এঁরা সবাই সুপারিশপত্র ও নিয়োগপত্র পেয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিজেদের মধ্যে বৈঠক করবে। CBI-এর থেকে এই সব তথ্য নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশন জানাবে, এঁদের মধ্যে কতজন অবৈধভাবে সুপারিশ পত্র পেয়েছেন?


মামলাকারীর আইনজীবীরাও কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে অবৈধভাবে নিযুক্তদের সংখ্যা খুঁজে বের করবেন বলে জানিয়ে দেয় আদালত। বলা হয়, যাঁরা অবৈধ ভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের নিজে থেকে পদত্যাগ করা উচিত। ৭ই নভেম্বরের মধ্যে তাঁরা পদত্যাগ করবেন বলে আদালত প্রত্যাশা করে।তাঁরা তা যদি না করেন, তাঁরা যদি নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকেন, তাহলে আদালত কড়া পদক্ষেপ নেবে।


সিবিআই-এর রিপোর্ট নিয়ে কী বলে আদালত!


এরই সঙ্গে আদালত জানিয়ে দেয়, গোটা বিষয়টির নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনও সরকারি চাকরির জন্য তাঁরা আবেদন করতে পারবেন না। যাঁরা পদত্যাগ করবেন, তাঁরা সে বিষয়ে SSC-কে জানাবেন।