হিন্দোল দে, জয়দীপ হালদার, সুকান্ত দাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : নামখানা ব্লকের অন্তর্গত পাতিবুনিয়া গ্রাম। গ্রামে নদীবাঁধ একেবারে ভাঙাচোরা অবস্থায়। অশনির প্রভাবে ক্রমশ উত্তাল হচ্ছে সমুদ্র। দুর্যোগের মেঘ যত ঘনীভূত হচ্ছে, জলোচ্ছ্বাসে বানভাসি হওয়ার আশঙ্কা দক্ষিণ ২৪ পরগনার সমুদ্র ও নদী উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ততই যেন জাঁকিয়ে বসছে। এবারও বাঁধ ভেঙে বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ভুক্তভোগী মানুষগুলো।বঙ্গোপসাগর ও চিনাই নদীর মোহনায় অবস্থিত এই গ্রামে নদীবাঁধের যা অবস্থা, তাতে প্রবল জলোচ্ছ্বাস তো দূরের কথা, একটু জোরাল স্রোতের ধাক্কাও সামলাতে পারবে কি না, তা নিয়ে গ্রামবাসীদেরই সন্দেহ রয়েছে। বাসিন্দা নন্দন বর্মন যেমন বললেন, ' কোনও কাজ হয় না। যখনই দুর্যোগ আসে, তখনই জেসিবি এনে কাজ দেখানো হয়। '
বঙ্গোপসাগর ও চিনাই নদীর মোহনায় অবস্থিত এই গ্রামে নদীবাঁধের যা অবস্থা, তাতে প্রবল জলোচ্ছ্বাস তো দূরের কথা, একটু জোরাল স্রোতের ধাক্কাও সামলাতে পারবে কি না, তা নিয়ে গ্রামবাসীদেরই সন্দেহ রয়েছে।
আরও পড়ুন :
অশনি নিয়ে কড়াকড়ির মধ্যেই সৈকতে পর্যটকদের ভিড় দিঘায়, শুনশান বকখালি
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সেচ দফতর সূত্রে খবর, বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে শুধু সাগরদ্বীপেই ১১টি জায়গায় নদীবাঁধ ভেঙেছে। তার মধ্যে ২টি জায়গায় পাকা বাঁধ নির্মাণ হচ্ছে। বাকি ৯টি জায়গায় কাঁচা বাঁধই থাকছে। মৈপীঠ কোস্টাল থানার পূর্ব গুড়গুড়িয়ার হালদারঘেরি গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে মাকড়ি নদী। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে সেখানে বাঁধ সংস্কার শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বাঁধের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকের পর দ্রুত সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক। শঙ্কার একটাই কারণ - বাঁধের শোচনীয় অবস্থা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জ। গত বছর ইয়াসে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল এই এলাকা। বছর ঘোরার পরেও দেখা যাচ্ছে, সেখানে এখন বালির বস্তা আর শাল খুঁটি পুঁতে তৈরি হচ্ছে বাঁধ। ফ্রেজার সাহেবের বাড়ির কাছ থেকে প্রায় ৮০০ মিটার এলাকা জুড়ে বাঁধ এখনও তৈরিই হয়নি। ফ্রেজারগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দা সুলেখা মণ্ডল জানালেন, ' আতঙ্কে ভয়ে আছি। রাতে ঘুম আসে না। ভোট এলে শুধু ভোট দাও। আসল সময়ে কাজে নেই।'
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সেচ দফতর সূত্রে খবর, বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে শুধু সাগরদ্বীপেই ১১টি জায়গায় নদীবাঁধ ভেঙেছে। তার মধ্যে ২টি জায়গায় পাকা বাঁধ নির্মাণ হচ্ছে। বাকি ৯টি জায়গায় কাঁচা বাঁধই থাকছে। মৈপীঠ কোস্টাল থানার পূর্ব গুড়গুড়িয়ার হালদারঘেরি গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে মাকড়ি নদী। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে সেখানে বাঁধ সংস্কার শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বাঁধের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকের পর দ্রুত সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক। নদীপাড়ের দুঃখের বারোমাস্যা অশনির আঘাতে যেন আরও প্রকট না হয়, অসবহায় পরিবারগুলোর এটাই প্রার্থনা।