কৌশিক গাঁতাইত, আসানসোল: রাতের খাওয়া সেরে শোবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ওঁরা। আচমকা ভূমিকম্পের মতো কেঁপে উঠল এলাকা। নিমেষের মধ্যে ফাটল ধরে গেল রাস্তা থেকে বাড়ির দেওয়াল, মেঝে সর্বত্র। আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এলেন প্রায় পনেরোটি পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের ডামরা এলাকায়। রাতেই ছুটে যায় পুলিশ প্রশাসন । কোনওভাবে রাত পার করে সকাল হতেই বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালাতে থাকেন তাঁরা। কোথায় যাবেন তার ঠিকানা জানা নেই। আপাতত প্রানে বাঁচাটাই তাদের লক্ষ্য। অবিলম্বে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে গোটা ঘটনার জন্যই ইসিএলকেই দায়ী করেছেন ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি। তিনি বলেন কালিপাহাড়ি খনি থেকে কয়লা উত্তোলন করার পর ভূগর্ভে বালি ভরাট না করায় এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। এর আগেও সেই এলাকায় ধসের ঘটনা ঘটেছে। অবিলম্বে ঐ মানুষদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা উচিত বলে জানান তিনি। এখনও ইসিএলের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে গোটা ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।


কিছুদিন আগেই ধস নেমেছিল কালিম্পং জেলার উনতিরিশ মাইল এলাকায়। তার জেরে দশ নম্বর জাতীয় সড়কে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। পূর্ত দফতরের তরফে রাস্তা সারানোর কাজ চলছে।


শেষ ভাদ্রেও বৃষ্টির দাপট।  ঘনঘন ধস নামছে পাহাড়ে। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই কালিম্পং জেলার ২৯ মাইল এলাকায় ধস নামতে শুরু করে।  তার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। 


কালিম্পং ও সিকিমের সঙ্গে শিলিগুড়ির সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। এক বাসচালক জানিয়েছিলেন, ধসের কারণে রাত থেকে আটকে। বৃষ্টি বেশি হলেই ধসে এধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হয়। সরকার স্থায়ী সমাধানের জন্য কিছু করলে ভাল হয়। সিকিম-কালিম্পং-শিলিগুড়ির মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক পাহাড়ের যোগাযোগ ব্যবস্থায় লাইফ লাইন হিসেবে পরিচিত।