কৌশিক গাঁতাইত, কুলটি(পশ্চিম বর্ধমান) : ঠিকমতো মাস্ক পরছেন না প্রায় ৪৯ শতাংশ রাজ্যবাসী। এই তথ্য উঠে এসেছে রাজ্য সরকারের সাম্প্রতিক সমীক্ষায়। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে তৎপর রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। অসচেতন মানুষদের সচেতন করতে এবার পথে নামল আসানসোল- দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট।
করোনার তৃতীয় ঢেউ সামাল দিতে তৎপর রাজ্য থেকে দেশ । এদিকে সংক্রমণ কিছুটা কমতেই বেপরোয়া একাংশ সাধারণ মানুষ ! সেই ছবিই ধরা পড়ল পশ্চিম বর্ধমানে কুলটির নিয়ামতপুর এলাকায়। এই অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এসিপি (পশ্চিম) ওমর আলি মোল্লার নেতৃত্বে কুলটির নিয়ামতপুরে আচমকা অভিযান চালানো হয়। বাজার করতে আসা অধিকাংশ মানুষের মুখেই ছিল না মাস্ক। তাঁদের সতর্ক করা হয়।
এর পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়, মাস্ক না পরে এলে কাউকে যেন জিনিস না দেওয়া হয় । পরে এসিপি বলেন, "মানুষকে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে । এই ধরনের অভিযান চলবে । তার পরও যদি তাঁরা সচেতন না হন তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
প্রসঙ্গত, মাস্ক পরা নিয়ে রাজ্য সরকার সব জেলা মিলিয়ে ৬৫০টি অঞ্চলে সমীক্ষা চালায়। তাতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, মাত্র ৫১.৬২ শতাংশ রাজ্যবাসী মাস্ক পরছেন। যার অর্থ ৪৮.৩৮ শতাংশ বা প্রায় ৪৯ শতাংশ রাজ্যবাসীরই মাস্ক ব্যবহারে অনীহা ধরা পড়েছে। যদিও এখানেই শেষ নয়!
সমীক্ষায় আরও উঠে এসেছে যে, ৫১ শতাংশের কিছু বেশি সংখ্যক রাজ্যবাসী মাস্ক পরছেন, তাঁদের মধ্যে ৩৫ শতাংশই ঠিকঠাকভাবে মাস্ক পরছেন না। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, শতকরাটা ৩৫.৩৩ শতাংশ। অর্থাৎ, মাস্ক ঠিকমতো পরছেন মাস্ক ব্যবহারকারীদের ৬৮.৪৪ শতাংশ। আর যে তথ্য পেয়েই নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন। হাওড়া (১৫২) ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার (১০৭) একশোর বেশি জায়গা পরিসংখ্যানের জন্য ধরা হলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, কিংবা দুই দিনাজপুর বা দার্জিলিং, রাজ্যের ২৩ জেলাজুড়েই বেছে নেওয়া মোট ৬৫০টি জায়গায় মাস্ক ব্যবহারের হার বুঝতে সমীক্ষাটি চালানো হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে।