আসানসোল : দিনভর অশান্তির পর আসানসোলে (Asansol) ভোট পরবর্তী হিংসার (Post-Poll Violence) অভিযোগ। ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীর এজেন্টকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। বিজেপি প্রার্থী তাপস দাসের এজেন্ট রিয়া নাথ। তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। বাড়িতে ঢুকে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। আহত রিয়া নাথ হাসপাতালে ভর্তি।


গতকাল ভোটপর্বে সকাল থেকে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ, আসানসোলের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের জামুড়িয়ার (Jamuria) শ্রীপুর বয়েজ হাইস্কুলের বুথ দখলের চেষ্টা হয়। গ্রামবাসী বাধা দেওয়ায় গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএম প্রার্থীকে ভয় দেখাতেই গুলি চালানো হয়। ফেসবুক লাইভে অভিযোগ করেন সিপিএম প্রার্থী দয়াময় বাউড়ির মেয়ে। পাল্টা সিপিএম প্রার্থীর বিরুদ্ধেই গন্ডগোল পাকানোর অভিযোগ তৃণমূলের। 


আরও পড়ুন ; জামুড়িয়ায় সিপিএম প্রার্থীকে ভয় দেখাতে গুলি ; ফেসবুক লাইভে অভিযোগ প্রার্থীর-মেয়ের


১২, ১৩ ও নম্বর বুথ দখলের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এই এলাকায় গতকাল সকাল থেকে তাণ্ডব চালায় তৃণমূলের বাইক বাহিনী। এর নেতৃত্বে তৃণমূল বিধায়কের ছেলে রয়েছেন বলে অভিযোগ করে সিপিএম। বিধায়কের ছেলে প্রথমে  শ্রীপুর বয়েজ হাইস্কুলে ঢোকার চেষ্টা করেন। গ্রামবাসী তা প্রতিরোধ করেন। বাধা পেয়ে তিনি ফিরে যান। অভিযোগ, আরও লোক এনে এরপর গুলি চালাতে চালাতে গ্রামে ঢোকেন তিনি। সামনেই তারা সিপিএম প্রার্থীকে পেয়ে যায়। তাকে ভয় দেখাতে ছয় থেকে সাত রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ।


এর আগে আসানসোল পুরসভার (Asansol Municipality) ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বুথ দখলে বাধা দেওয়ায় বিজেপি প্রার্থী (BJP Candidate) আদর্শ শর্মার মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রার্থী বলেন, "বাইরে থেকে ছেলে এনে ভোটে রিগিং করছে। ২০০ জন প্রায় ছিল। আমাদের মেরেছে। আমার মাথায় লোহার রড দিয়েছে মেরেছে। হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। ওরা আগে আমার ওপর আগ্নেয়াস্ত্র পয়েন্ট করে। চারটি লাঠি দিয়ে মারে। পুলিশ কিছু করছে না।"


আসানসোলের (Asansol) ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে হাজি কদম রসুল স্কুলেও উত্তেজনা ছড়ায়। বহিরাগতদের ঢোকানোর অভিযোগ তোলেন বিজেপি প্রার্থী (BJP Candidate) চৈতালি তিওয়ারির স্বামী জিতেন্দ্র তিওয়ারি। পাল্টা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ঘিরে 'গো ব্যাক' স্লোগান দেন তৃণমূল কর্মীরা। এনিয়ে বিজেপি নেতার সঙ্গে বচসা হয়। উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগে তাঁকে বুথ থেকে বের করে দেয় পুলিশ। এরপর বুথের বাইরে চেয়ারে বসে নজরদারি জারি রাখেন বিজেপি নেতা।