আশাবুল হোসেন, কলকাতা: উপনির্বাচনে জয়ী ২ তৃণমূল প্রার্থীর শপথ ঘিরে জটিলতা আরও বাড়ল। রাজভবন নয়, বিধানসভাতেই শপথ নিতে চান সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন। চাপ বাড়িয়ে শপথ নিতে রাজ্যপালকেই বিধানসভায় আসার আবেদন। বিধানসভায় শপথগ্রহণের জন্য রাজ্যপালকে ফের চিঠি সায়ন্তিকাদের। আগামীকাল বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত অপেক্ষা করব, বিধানসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পরে রাজ্যপালকে চিঠি দিলেন সায়ন্তিকা।


বিশদ... 
শপথগ্রহণের জন্য কাল রাজভবনে সাড়ে ১২টায় সময় দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। না এলে কী জটিলতা তৈরি হবে, সে ব্যাপারে সায়ন্তিকা-রেয়াতকে কড়া চিঠি দেয় রাজভবন। তার পর রাজ্যপালকেই বিধানসভায় আসার আমন্ত্রণ জানান সায়ন্তিকারা। তৃণমূলের অভিনেত্রী-বিধায়ক জানালেন, রাজভবনের তরফে যে চিঠি পাঠানো হয়েছিল, তাতে বলা হয়, মহামান্য রাজ্যপাল যাঁকে ঠিক করবেন, তিনিই উপনির্বাচনে জিতে আসা বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। কিন্তু সায়ন্তিকার কথায়, স্বয়ং রাজ্যপালই যদি তা করেন, তা হলে তিনি আরও বেশি সন্তুষ্ট হবেন। তবে এবার বিষয়টি নিয়ে দলের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। তাঁর কথায়, 'আমি আমার দলীয় নেতৃত্বকে জানাব। বিধানসভার অধ্যক্ষকে জানাব। পরিষদীয় দলের নেতৃত্বকে জানাব।' 
তৃণমূল শিবিরের দাবি, রাজভবনের তরফে যে চিঠি পাঠানো হয়েছিল তাতে কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন সে কথা স্পষ্ট করে বলা ছিল না। চিঠি পাওয়ার পর ভগবানগোলা এবং বরানগরের জয়ী প্রার্থী বিধানসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করেন। আলাপ-আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়, তাঁরা রাজভবনে পাল্টা চিঠি পাঠাবেন। সেই চিঠিতেই তাঁরা লিখবেন, অধ্যক্ষ যেন তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান এই মর্মে আর্জি জানানো হবে। এই কথা জানিয়ে তাঁরা গত কাল চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজভবনে। আজ দুজনের কাছে ফের চিঠি আসে রাজভবন থেকে। সেই চিঠি ছিল প্রায় ৩ পাতার। সেই চিঠির ছত্রে ছত্রে মনে করানো হয়েছে, এক জন জয়ী প্রার্থী যদি শপথ নেওয়ার ক্ষেত্রে গড়িমসি করেন, তা হলে তাঁদের কী কী সমস্যার মধ্যে পড়তে হতে পারে। এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ এমন অনেকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যাঁরা উপনির্বাচনে জিতে আসার পর রাজভবনে গিয়ে শপথ নেন। শপথ না নিলে জয়ী প্রার্থীদের কী কী সমস্যার মধ্যে পড়তে হতে পারে, সেটি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ও দেখানো হয় চিঠিতে। এমনকি, চিঠিতে এও জানানো হয় যে একজন জয়ী প্রার্থী কোথায় শপথ নেবেন, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার তাঁদের নেই। একমাত্র রাজ্যপালই এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, লেখা হয় চিঠিতে। সব মিলিয়ে আরও বাড়ল জট।


 


আরও পড়ুন:পুর-পরিষেবা নিয়ে ভর্ৎসনা মুখ্যমন্ত্রীর, 'ব্যর্থতা' স্বীকার বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণার, বললেন..