কলকাতা: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এবার সরকারি কর্মীদের পাশে দাঁড়াল চিকিৎসকদের সংগঠনও (Association Of Doctors Stand Beside Agitators As Demonstration For Pending DA Continues On Third Day)। বুধবার বেলা ২-বিকেল ৪টা পর্যন্ত সরকারি দফতর, স্কুল, হাসপাতালে কর্মবিরতি (call of no work on wednesday)। জরুরি পরিষেবা বিঘ্নিত না করেই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি বিক্ষোভকারীদের।


বিক্ষোভ চলছেই... 
বুধবার রাজ্য জুড়ে সব সরকারি দফতর, স্কুল, হাসপাতালে ২ ঘণ্টা কর্মবিরতির ডাক। 'আমরা আন্দোলন করতে বসেছি, কী ভাবে আদায় করতে হয় জানি', সাফ বললেন বিক্ষোভকারীরা। সঙ্গে অভিযোগ, তাঁদের মৌলিক অধিকার দমানোর চেষ্টা চলছে। জানালেন, সরকার আবেদনে সাড়া দেয়নি। তাই তৃতীয় দিনেও আন্দোলন চলছে। এতেই শেষ নয়। 'সরকার আমাদের দাবি না মানলে আন্দোলন চলবে', স্পষ্ট বার্তা আন্দোলনকারীদের। পাল্টা আক্রমণে তৃণমূল কংগ্রেস। শাসকদলের সমালোচনা, শুধু আমরা পাব, আমাদের দিতে হবে! সমাজের প্রতি কোনও দায়বদ্ধতা নেই আন্দোলনকারীদের। নেপথ্যে বাম-বিজেপির প্ররোচনার অভিযোগ এনেছে তারা। প্রসঙ্গত, গত কাল কার্যত একসুর শোনা গিয়েছিল ফিরহাদ হাকিমের কথায়। 


কী ঘটেছিল?
ফিরহাদ বলেন, 'কোনও সরকারি কর্মী আন্দোলনে বসেননি। এঁরা সকলে সিপিএম কর্মী। সরকার সময় মতোই কাজ করবে।' বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। আপাতত ১৫ মার্চ, সুপ্রিম কোর্টে DA-মামলা শুনানি হওয়ার কথা। সে দিকেও নজর রয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। প্রসঙ্গত, পঞ্চম বেতন কমিশন অনুযায়ী, কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের DA-র ফারাক ছিল ৩৪ শতাংশ। ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী সেই ব্যবধান বেড়ে হয়েছেন ৩৫ শতাংশ। অন্যান্য রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য ডিএ-র হারও এত কম নয়। ২০২১ সালের ১ জানুয়ারির হিসাব অনুযায়ী, এরাজ্যে সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য ডিএ-র হার মাত্র তিন শতাংশ। ২০২০ সালের ১ জুলাইয়ের হিসাব অনুযায়ী, কেরলে সরকারি কর্মচারীরা ৩৬ শতাংশ হারে ডিএ পেয়ে থাকেন। ২০২২ সালের ১ জুলাইয়ের হিসাব অনুযায়ী, তামিলনাড়ুর সরকারি কর্মচারীরা ৩৪ শতাংশ হারে ডিএ পান। ২০২২ সালের ১ অগস্টের হিসাব অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশের সরকারি কর্মচারীরা ৩৪ শতাংশ হারে ডিএ পান। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের হিসাব অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশের সরকারি কর্মচারীরা ৩১ শতাংশ হারে ডিএ পান। ২০২২ সালের অগস্ট মাসের হিসাব অনুযায়ী, ছত্তীসগঢ়ের সরকারি কর্মচারীরা ২৮ শতাংশ হারে ডিএ পান। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের হিসাব অনুযায়ী, ঝাড়খণ্ডের সরকারি কর্মচারীরা ২৮ শতাংশ হারে ডিএ পান। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের হিসাব অনুযায়ী, কর্নাটকের সরকারি কর্মচারীরা ২৭.২৫ শতাংশ হারে ডিএ পান। ২০২১ সালের জুলাই মাসের হিসাব অনুযায়ী, হরিয়ানায় সরকারি কর্মচারীরা ২৮ শতাংশ হারে ডিএ পান। বকেয়া DA-র দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সরকারি কর্মীরা। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে চলছে মামলা। এরই মধ্যে শুক্রবার থেকে পথে নেমেছেন আন্দোলনকারীরা। 


আরও পড়ুন:ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বুকে গুলি, আশঙ্কাজনক মন্ত্রী