কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান : সোনা-রুপোর আগুন দাম। হাত ছোঁয়ালেই ছ্যাঁকা। বিয়ের মরশুমেও বিক্রিবাট্টা নিয়ে চিন্তিত ছোট স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে কারও কারও কপাল খুলছে রাম মন্দিরের ( Ayodhya Ram Mandir ) সৌজন্যে, অনন্ত বর্ধমান শহরে। রামমন্দিরের আদলে তৈরি আংটি ও লকেট-ই এখন হট কেক এই জেলায় ( Bardhaman ) ! দাবি এক ব্যবসায়ীর। এইসব আংটি ও লকেট বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে।
গত ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরে রামলালার অভিষেক হতেই রামমন্দির নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে। সামাজিক মাধ্যমে পোস্টের ছড়াছড়ি। কেউ বিস্কুট দিয়ে গড়ছেন রামমন্দির, কেউ আবার চালে আঁকছেন মন্দিরের নক্সা। রাম লালার অভিষেককে ঘিরে উন্মাদনার রেশ পড়েছে বাংলার বর্ধমান জেলাতেও।
রাম মন্দির উদ্বোধনের আবহে বর্ধমানের গহনা শিল্পী সুদীপ্ত দত্ত ঠিক করেন তিনি রামমন্দিরের আদলে আংটি বানাবেন। প্রায় ৪ দিনের পরিশ্রমে তিনি বানিয়েও ফেলেন সেই আংটি । দোকানে ডিসপ্লে করতেই চাহিদা তুঙ্গে। রামমন্দিরের আদলে তৈরি আংটির নাকি একের পর এক অর্ডার আসতে শুরু করেছে। পাশাপাশি অর্ডার আসতে শুরু করেছে রামলালার মুর্তির আদলে তৈরী লকেটেরও।
স্বর্ণকার সুদীপ্ত দত্ত জানান, বেশ কয়েকমাস ধরেই গহনার বাজার মন্দা যাচ্ছিল, ঠিকঠাক বরাত মিলছিল না। তাই রামমন্দিরের ছবি দেখে ঠিক করেন , যদি এই মন্দিরের আদলে কিছু করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ৪ দিনের পরিশ্রমে প্রথম একটি আংটি তৈরি করেন তিনি।
আংটিতে রামমন্দিরের নকশার খুব সূক্ষ বিষয়গুলিও ধরা পড়েছে । এরপর এই আংটি দোকানে ডিসপ্লে করতেই ক্রেতাদের মধ্য ব্যাপক চাহিদা লক্ষ্য করা যায়। একের পর এক অর্ডার আসতে শুরু করে। ইতিমধ্যেই সোনা ও রুপো মিলিয়ে প্রায় ডজন খানেক আংটি ও লকেটের অর্ডার পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী । অনেকে এখনও খোঁজ নিতে আসছেন। গত ১৫ দিন ধরে এই আংটি লকেট ডেলিভারি দেওয়ার জন্য ব্যস্ততা তুঙ্গে।
সুদীপ্ত দত্ত জানান, বর্তমান দাম অনুযায়ী ওজন ও আকার হিসাবে দামের তারতম্য হয়। তাই সঠিকভাবে দাম বলা সম্ভব নয়। তবে শনিবারের বাজার-দর অনুসারে, ২৬ গ্রাম রুপোর একটি আংটির দাম পড়েছে মজুরিসহ ৪ হাজার ৫০০ টাকা। ৩১ গ্রাম একটি সোনার আংটির দাম পরেছে মজুরিসহ প্রায় ২ লাখ টাকা। লকেটের দাম ভিন্ন ভিন্ন।
আংটির অর্ডার দেওয়া পলাশ দে জানান, ইতিমধ্যেই তিনি রামমন্দিরের আদলে গড়া আংটি সংগ্রহ করেছেন। আংটিটা দেখা মাত্রই পছন্দ হয়ে যায়।পলাশের মতো আরও অনেকেই এই আংটি পেয়ে খুশি।