রঞ্জিত সাউ, বাগুইআটি: বৃহস্পতিবার নারায়ণপুর থানা এলাকায় শুটআউটকাণ্ডে মূল অভিযুক্তসহ গ্রেফতার দুই। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম সুজয় দাস (নারায়ণপুর) ও বিক্রম মাহাত (ইছাপুর)। আজ দুপুরে নারায়ণপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় দুই অভিযুক্তকে। আগামীকাল তাঁদের ব্যারাকপুর কোর্টে তোলা হবে।


গতকাল সন্ধেবেলায় দেবজ্যোতি ঘোষ প্যারোলে ছাড়া পেয়ে নারায়ণপুর থানায় হাজিরা দেয়, সেখান থেকে বাড়ি যাওয়ার সময়ে নারায়ণপুর ফায়ার ব্রিগেড মোড়ের কাছে দুটি বাইকে করে চারজন যুবক এসে গাড়ি দাঁড় করিয়ে এলোপাথারী গুলি চালায় তাঁকে লক্ষ্য করে। গুলির আঘাতে মৃত্যু হয় দেবজ্যোতি ঘোষের। 


এর পরই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। শুরু হয় দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় দেবজ্যোতি ঘোষের গাড়ির চালককে। এর পর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সুজয় দাস ও বিক্রম মাহাতকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত। 


জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত সুজয় এক সময়ে দেবজ্যোতির ঘনিষ্ট ছিল। বিভিন্ন অসামাজিক কাজের টাকা পয়সা নিয়ে ঝামেলার কারণে আলাদা হয়ে যা দু-জন। তীব্র ক্ষোভ ছিল দেবজ্যোতির ওপর। দীর্ঘদিন ধরেই খুনের ছক ছিল বলে পুশিস সূত্রে খবর।


সেই মতোই দেবজ্যোতির ওপর নজর রাখছিল ওই দুই ব্যক্তি। এরপরেই তাঁরা খবর পায় বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলায় নারায়ণপুর থানায় হাজিরা দিতে যাবে দেবজ্যোতি। সেই সতো থানার কাছেই একটি নির্জন জায়গা বেছে রেখেছিল দুই অভিযুক্ত। এ দিন সেখানে দেবজ্যোতির গাড়ি পৌঁছতেই গাড়ি আটকায় সুজয়, বিক্রম ও সঙ্গে থাকা আরও দুজন। গাড়ি দাঁড়াতেই এলোপাথারি গুলি চালানো হয়।                                                                                        


এরপর দেবজ্যোতিকে উদ্ধার করে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। সূত্রের খবর গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে সুজয়ের নাম জানতে পারে পুলিশ। এর পরই নারায়ণপুর থানা এলাকা থেকে সুজয় ও বিক্রমকে আজ দুপুরে গ্রেফতার করা হয়। বাকি দুজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।