কলকাতা : বাগুইআটি থেকে দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত সতেন্দ্র চৌধুরী। ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। বাগুইআটি থানার আইসিকে ক্লোজ করা হয়। বাগুইআটিতে ২ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী খুনের তদন্তে সিআইডিকে ভার দেওয়া হল। পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে আসছে পরিবার প্রথম থেকেই। 

বাগুইআটির জোড়া খুনের তদন্তে প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। স্থানীয়রা তাই সিআইডি তদন্তে খুশি, কিন্তু দ্রুত মূল অভিযুক্তকে ধরতে হবে। উঠেছে দাবি।  পুলিশি তদন্তে ভরসা নেই, আগেই জানিয়েছিল নিহত অভিষেকের পরিবার। তিনি দাবি করেন সিবিআই তদন্ত। 


বুধবার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম জানান, পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ খোদ মুখ্যমন্ত্রীও । তিনি বলেন, ‘কেউ ছাড় পাবে না, দোষীরা শাস্তি পাবে, ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী'। 


সূত্রের খবর, ২ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর দেহ উদ্ধারের পর জানানো হয়েছিল বিধাননগর কমিশনারেটকে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা জানানো হয়েছিল বিধাননগর কমিশনারেটকে। নয়ানজুলি থেকে দেহ উদ্ধারের পর ছবি তুলে জানানো হয়েছিল কমিশনারেটকে, খবর সূত্রের। শুধু বিধাননগর নয়, সমস্ত থানাকে জানিয়েছিল বসিরহাট জেলা পুলিশ।ফলে পুলিশের তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই। 

মুক্তিপণ চেয়ে পাঠানো হয় SMS

সূত্রের দাবি, প্রায় ২ সপ্তাহ মর্গে ২ কিশোরের দেহ পড়ে থাকলেও, তাদের যে খুন করা হয়েছে তাই জানত না পুলিশ। সূত্রের খবর, এক অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পরই পুলিশ জানতে পারে, ২ কিশোরকে খুন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ময়নাতদন্ত হয়ে গেলেও এখনও সেই রিপোর্ট হাতে পায়নি পুলিশ।  


দুই কিশোরকে খুনের পর বাসন্তী হাইওয়ের ২টি ভিন্ন জায়গায় ফেলে যাওয়া হয় মৃতদেহ।  পরিবারের দাবি, এক কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে পাঠানো হয় SMS। ঘটনায় চারজন গ্রেফতার হলেও মূল অভিযুক্ত অধরা।  


গাড়িতে খুন , তার আগে  খাবার খাওয়ানো হয়
বুধবার সামনে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য । ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে খুন করানো হয়েছে বাগুইআটির ২ কিশোরকে। খুনের আগে রাজারহাটে নিয়ে গিয়ে তাদের খাবার খাওয়ানো হয়। খাওয়ানো হয় চা। পুলিশ সূত্রে খবর, ভাড়াটে খুনিদের বলা হয়েছিল, একটা কাজ করতে হবে। তার জন্য দেওয়া হবে টাকা।  পুলিশ সূত্রে খবর, ২২ অগাস্টই রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে গাড়িতে খুন করা হয় ২ কিশোরকে। গাড়িতে ২ কিশোর সহ ছিল ৬ জন। তবে ঘটনার পর থেকে ২ ছাত্রেরই মোবাইল ফোন উধাও ছিল। 


সুজিত বসুর সঙ্গে কী কথা হয় পরিবারের 
দুই পড়ুয়ার পরিবারই এর আগে দেখা করেছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর সঙ্গেও। তখন কী কথা হয়েছিল ? ABP Ananda কে জানালেন দমকল মন্ত্রী। দমকল মন্ত্রী জানান, ওই দুই ছাত্রের পরিবারের লোকেরা দেখা করতে আসেন তাঁর সঙ্গে। এসেছিলেন তাঁরা মন্ত্রীর পরিচিত একজনের সূত্র ধরেই। সুজিত বসুর অফিসে বসেই কথা হয় তাঁদের। ঘটনা জেনে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কমিশনারকে জানিয়েছিলেন বলে জানান দমকলমন্ত্রী। তবে এভাবে যে বেঘোরে প্রাণ হারিয়েছে দুই পড়ুয়া ভাবতেই পারেননি তিনি। দোষী ধরা পড়ুক, শাস্তি হোক, চান তিনি।