কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: জামিনের আবেদন খারিজ জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari Bail Plea Rejected)। আজ সিজেএম আদালতে প্রায় এক ঘণ্টার শুনানি শেষে রায় জানান বিচারক তরুণকান্তি মণ্ডল।


কী হল আজ?
শুনানির শুরুতেই জিতেন্দ্রর আইনজীবী শেখর কুণ্ডু জামিনের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন। গত 20 মার্চ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথা টেনে বলেন, 'কাউন্সিলর গৌরব গুপ্তা-সহ দুজনকে আদালত সময় সাপেক্ষে গ্রেফতার না করার নির্দেশ দিয়েছে। আইনে জিতেন্দ্র সুযোগ পেলে তাঁর ক্ষেত্রেও হয়তো একই রায় হত। ' শেখরের আরও যুক্তি, ওই রায়ে জিতেন্দ্র প্রসঙ্গে আদালতের নীরবতাকে যেন গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হয়। তাঁর দাবি,  জিতেন্দ্র গৌরবদের মতো একটা সুবিধা পেতে পারেন জেনে আগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করবেন জিতেন্দ্র- এই আশ্বাস দিয়ে তিনি জামিনের আবেদন করেছেন। অন্য দিকে জামিনের তীব্র বিরোধিতা করে সরকারি পক্ষের আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ জানান, দুজন সুযোগ পেয়েছেন বলে তৃতীয় জনের ক্ষেত্রেও একই রায় হতে পারে এটা ধরে নিয়ে আইন চলে না। সোমনাথ জানান হাইকোর্ট পুলিশকে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে বলেছে। পুলিশ সেটাই করছে। গ্রেফতারির আগেই, গত ১৫ মার্চ জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আসানসোল সিজেএম আদালত। এর পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশি হেফাজতে থাকা একজনকে জামিন দিলে তদন্ত ব্যাহত হবে বলে দাবী করেন তিনি। সবশুনে বিচারক জিতেন্দ্রর জামিনের আবেদন খারিজ করেছেন। পরবর্তী শুনানি ২৭ মার্চ।


প্রেক্ষাপট...
কম্বল বিতরণকাণ্ডে পদপিষ্টের ঘটনায় গত ১৮ মার্চ গ্রেফতার হন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। নয়ডায় আসানসোল এবং দুর্গাপুর কমিশনারেট পুলিশের হাতে গ্রেফতার ওই বিজেপি নেতা। এর আগে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন জিতেন্দ্র। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর আবেদন খারিজ করে। এর পর সুপ্রিম কোর্টেও যান জিতেন্দ্র। কিন্তু সেখানে শুনানির আগেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। প্রসঙ্গত, গত ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়। হুড়োহুড়ির মধ্যে প্রাণ যায় তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী-সহ তিন জনের। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওই অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন, স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলর ও পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি, যিনি জিতেন্দ্রর স্ত্রী।  ওই কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরই হুলস্থুল বাধে বলে জানা যায়।


আরও পড়ুন:'পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ও কুণাল ঘোষের চিত্রনাট্য দুর্বল', পাল্টা হুঙ্কার শুভেন্দু অধিকারীর