সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈঁচিগ্রাম (হুগলি): করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে রাজ্যে চলছে বিধিনিষেধ। বন্ধ রয়েছে সাধারণ যাত্রীদের জন্য লোকাল ট্রেন পরিষেবা। চলছে শুধু রেলের কর্মীদের জন্য কিছু স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন। এই ট্রেনগুলিতে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের ওঠার ছাড়পত্র রয়েছে। এরইমধ্যে হুগলিতে পূর্ব রেলের হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইন শাখার বৈঁচিগ্রাম স্টেশনে মঙ্গলবার অবরোধের ঘটনা ঘটল। অবরোধ করল হকাররা।
ট্রেনে উঠলেই হকারদের জিআরপি, আরপিএফ হেনস্থা করে বলে অভিযোগ।লোকাল ট্রেন তাঁদের রুজি রুটির জায়গা।সেই ট্রেন চলাচল এখনো স্বাভাবিক হয়নি।এখন কিছু স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলছে।আর তাতে উঠলেই জরিমানা করছে রেল পুলিশ,এমনকি মারধরও করা হচ্ছে বলে অভিযোগ হকারদের। রেল পুলিশের জুলুমের প্রতিবাদে বৈঁচিগ্রামে আপ বর্ধমান লোকাল আটকে অবরোধ শুরু করেন হকাররা।
উল্লেখ্য, লোকাল ট্রেন চালু করার দাবিতে, বিগত কিছুদিনে বিভিন্ন স্টেশনে অবরোধে খবর সামনে এসেছেন এরইমধ্যে বৈঁচিগ্রাম স্টেশনে রেল অবরোধ করলেন হকাররা।
উল্লেখ্য, রাজ্য আপাতত চালু হচ্ছে না লোকাল ট্রেন বলে গত ১২ অগাস্ট জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত রাজ্যে চালু থাকছে কোভিডের বিধিনিষেধ।মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, লোকাল ট্রেন চালু করতে আর একটু সময় নিচ্ছি, কারণ থার্ড ওয়েভটা দেখে নিতে হবে। আরও ১৫ দিন এটা থাকবে, অগাস্টের ৩০ পর্যন্ত।
এরমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী টিকাকরণের গতি বাড়ানোর চেষ্টার কথা বলেছিলেন। বলেছিলেন, ৫০ শতাংশ টিকাকরণ হয়ে গেলে ট্রেন চালু করে দেওয়া হবে।
৫ মে তৃতীয় বারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর, করোনা সংক্রমণের কারণে লোকাল ট্রেন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। সেই থেকে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাজ্যে। শুধুমাত্র ‘স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন’ চলছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, এখনই লোকাল ট্রেন চালুর সম্ভাবনা নেই।এরইসঙ্গে রাজ্যে কোভিড সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণবিধির মেয়াদও বাড়িয়ে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে।