কলকাতা: মুচিপাড়াকাণ্ডে জামিনে মুক্ত সজল ঘোষের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ। তালবানি শাসনের সঙ্গে করলেন তুলনা। দোষ করেছিল বলেই গ্রেফতার করা হয়।  বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।


এ দিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, 'এখানেও তালিবানরাজ শুরু হয়েছে, একজন নেতাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।' দমদম তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের পাল্টা আক্রমণ, 'দিলীপ নতুন কথা শিখেছে, সজল ঘোষ বাহুবলী নেতা, গায়ের জোর ব্যবহারে ওর খ্যাতি। সোমবার শুভেন্দু অধিকারী, অর্জুন সিং। মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসু। মুচিপাড়াকাণ্ডে জামিনে মুক্ত সজল ঘোষের বাড়িতে গিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিলেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা।


শুক্রবার দরজা ভেঙে নাটকীয়ভাবে গ্রেফতার করা হয় সজল ঘোষকে। দলীয় নেতার গ্রেফতারি নিয়ে তালিবানি শাসনের সঙ্গে তুলনা করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সেই প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ। পাল্টা জবাব দিয়েছে শাসক দল।


দিলীপ ঘোষের কথায়, তাঁর অপরাধ অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন যেন টেররিস্ট, এখানে কত জঙ্গি, গ্যাংস্টার লুকিয়ে আছে তার খবর নেই। দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, দিলীপকে ওকে মহান শহিদ দিবস হিসেবে দেখানোর চষ্টা করুক, শিয়ালদার মানুষ জানে ও কেমন, একটা ভোটেও জেতেনি। সব মিলিয়ে জামিনের পরও মুচিপাড়াকাণ্ডে তরজা থামছে না।


গত ১৬ অগাস্ট মুচিপাড়াকাণ্ডে ধৃত বিজেপি নেতা সজল ঘোষের জামিন হয়। ২০ হাজার টাকার বন্ডে প্রদীপ ঘোষের ছেলে সজল ঘোষের জামিন মেলে। শুক্রবার বাড়ির দরজা ভেঙে সজলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সার্চ ওয়ারেন্ট, পুলিশ হেফাজতের আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত। 


মুচিপাড়াকাণ্ডে ধৃত বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয় এদিন। ২৫ তারিখ পর্যন্ত নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাল পুলিশ। আবেদন জানাল হল বাড়িতে সার্চ ওয়ারেন্টের।


পুলিশের দাবি, ঘটনার দিন বিজেপি নেতার হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। অস্ত্র উদ্ধার ও পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহে গতকাল সজল ঘোষকে নিয়ে তাঁর বাড়িতে তল্লাশিতে যায় পুলিশ। সেখানে বিজেপি নেতার পরিবার পুলিশ কর্মীদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ।