সুকান্ত দাস, বকুলতলা: খালপাড় থেকে উদ্ধার নাবালকের রক্তাক্ত দেহ (Minor Dead body)। ঘটনাটি ঘটেছে বকুলতলায় (Bakultala)। দেহ উদ্ধার ঘিরে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর গতকাল রাত থেকেই নিখোঁজ ছিল মীর হোসেন মোল্লা নামে বছর ১৩-র ওই নাবালক।


আজ সকালে তার বাড়ি থেকে কিছু দূরে খালপাড়ে রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পায় গ্রামবাসীরা। এর পরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বকুলতলা থানার পুলিশ (Bokultala Police station)। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বকুলতলা থানার ৪নং মনিরতটের বাসিন্দা ছিল মীর হোসেন মোল্লা। খুন নাকি অন্য কারণ, কীভাবে মৃত্যু তা এখনও স্পষ্ট নয়। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বকুলতলা থানার পুলিশ। 


বাড়ি থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে নিখোঁজ শিশুর (Child) মৃতদেহ উদ্ধার। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাওড়ার (Howrah) বাঁকড়ায় (Bankra)। অপহরণ করে খুন করা হয়েছে কি না, তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


সোমবার বিকেলে বাড়ির সামনে খেলছিল একরত্তি। সিসি ক্যামেরায় (CCTV) বন্দি সেই ছবি। তারপর থেকেই নিখোঁজ চার বছরের এক শিশু। তন্নতন্ন করে গোটা এলাকায় খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার বাড়ি থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে উদ্ধার হল মৃতদেহ।


স্থানীয় সূত্রে দাবি, সোমবার বিকেলে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর শিশুর ছবি সহ পোস্টার দেওয়া হয় বিভিন্ন জায়গায়। মঙ্গলবার টিকিয়াপাড়ার (Tikiapara) নির্মীয়মাণ মার্কেটের (Market) রিজার্ভারে তার মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়।


অন্যদিকে আলিপুরদুয়ারেও উদ্ধার হয়েছে এক মহিলার দেহ। জানা গিয়েছে, পরিবারসহ জ্বালানির জন্য কাঠ আনতে জঙ্গলে গিয়েছিলেন। জঙ্গলের নির্জন এলাকা থেকে গলার নলি কাটা অবস্থায় এবং শরীরের নিম্নাংশ বিবস্ত্র অবস্থায় এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করল মাদারিহাট থানার পুলিশ। ধর্ষন করে খুন নাকি বন্য জন্তুর আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মাদারিহাট থানার অন্তর্গত জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের মাদারিহাট রেঞ্জের উত্তর খয়েরবাড়ি জঙ্গলে।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাদারিহাট থানার হাজিপাড়ার বাসিন্দা রীনা মুন্ডা সোমবার বেলার দিকে পরিবারের সকলের সঙ্গে কাঠ কুড়োতে যান। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানায়, মৃত ওই মহিলার বয়স আনুমানিক ২১ বছর। এ দিন সকাল এগারোটা নাগাদ তিনি তাঁর স্বামী রাজেশ মুন্ডা এবং পরিবারের সকলের সঙ্গে কাঠ কুড়োতে যান। মৃতার স্বামী রাজেশ মুন্ডার দাবি, সেই সময় বন দফতরের দুই মহিলা কর্মী এবং একজন পুরুষ কর্মীর নজরে তাঁরা। পড়েন। বন দফতরের কর্মীদের নজরে পড়তেই তাঁরা যে যার মতো ভয়ে পেয়ে এদিক ওদিক পালিয়ে যান। বন দফতরের কর্মীদের হাতে ওই ব্যক্তির বাবা ধরা পড়েন। পরে যদিও তাঁকে ছেড়ে দেন বনকর্মীরা। এরপরই তাঁরা রীনা মুন্ডাকে দেখতে না পেয়ে তাঁর খোঁজ শুরু করেন। জঙ্গলে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও রীনা মুন্ডাপ খোঁজ তাঁরা পাননি। আরও কিছুক্ষণ খোঁজার পর বেলা তিনটে নাগাদ রীনার রক্তাক্ত দেহ তাঁরা উদ্ধার করেন।