কলকাতা: ১২ এপ্রিলই হবে বালিগঞ্জ (Ballygunge) ও আসানসোলের (Asansol) উপ-নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে (State Election Commission) খবর উপনির্বাচনের দিনক্ষণ পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। কালই নির্বাচন কমিশনকে উপ নির্বাচনের দিন পরিবর্তনের জন্য চিঠি দেয় রাজ্য। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মাঝেই পড়েছে আসানসোল ও বালিগঞ্জের উপনির্বাচন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর ‘৬ মাসের মধ্যেই করাতে হবে উপনির্বাচন, এমনই বলা আছে সংবিধানে’ সেইজন্যই ১৮ এপ্রিলের মধ্যে উপ নির্বাচন করাতে হবে।


উল্লেখ্য আসানসোল (Asansol) ও বালিগঞ্জ (Baliganj) উপনির্বাচনের দিন পরিবর্তন চেয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে গতকালই মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দেওয়া হয়। ১২ এপ্রিল আসানসোল ও বালিগঞ্জে উপনির্বাচন (Asansol and Baliganj By Election)। ওই সময় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায় দিন বদলের আর্জি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়। তবে সম্ভবত রাজ্যের আর্জিতেও বদলাচ্ছে না দিনক্ষণ। যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি কমিশনের তরফে। 


১২ এপ্রিল আসানসোল (Asansol), বালিগঞ্জে (Ballygunge) উপনির্বাচন (By-Election)। আসানসোল লোকসভা, বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের সময়েই চলবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট। বাবুল সুপ্রিয়ের ইস্তফায় আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। ১৬ এপ্রিল বালিগঞ্জ, আসানসোল ২টি উপনির্বাচনেরই গণনা হবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। একইদিনে ছত্তীসগঢ়, বিহার, মহারাষ্ট্রের ৩টি বিধানসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচন। ১৭ মার্চ ভোটের বিজ্ঞপ্তি, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৮ মার্চ। 


উল্লেখ্য, বালিগঞ্জ বিধানসভায় মোদি মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্য বাবুল সুপ্রিয়কে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে উপনির্বাচন হবে বালিগঞ্জে। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী করেছে বাবুল সুপ্রিয়কে। যিনি গত বিধানসভা নির্বাচনে টালিগঞ্জ কেন্দ্রে তৃণমূলের অরূপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ভোটে লড়ে পরাজিত হন।  ১৮ সেপ্টেম্বর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল। 


বালিগঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী করার পর থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খোলেন বাবুল। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘কোনও বাঙালি কি কেন্দ্রের পূর্ণমন্ত্রী হতে পারেন না? নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ কী মনে করেন! ' তবে কি মন্ত্রিত্ব না পাওয়ার জন্যই বিজেপি ছেড়েছিলেন বাবুল ? স্পষ্টতই তিনি বলে দিলেন , হ্যাঁ। দাবি করলেন, ৮ বছর ধরে পড়াশোনা করে রাজনীতি করেছেন, তাহলে তাঁকে পূর্ণমন্ত্রী করা হল না কেন। এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাবুল খোলাখুলিই বলে দেন,  ভাল কাজ করে যদি ইনসেন্টিভ না পাই, তাহলে থাকব কেন। কেন একজন বাঙালিকে পূর্ণমন্ত্রী করা গেল না? কখনও মাথা নিচু করে থাকিনি!