কলকাতা: বালিগঞ্জে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসের সামনে ধর্না চলাকালীন অসুস্থ এক চাকরিপ্রার্থী। গতকাল মাঝরাতে অসুস্থ বোধ করায়, ২০০৯-এর প্রাথমিকের দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাকরিপ্রার্থী। সঙ্গীতা দাসকে পুলিশের গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশে নভেম্বর মাসে প্যানেলভুক্ত হলেও নিয়োগপত্র মেলেনি। অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে সোমবার দুপুর থেকে বালিগঞ্জে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের অফিসে ধর্না অবস্থান শুরু করেছেন ২০০৯-এর প্রাথমিকের দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাকরিপ্রার্থীরা। নিয়োগপত্র না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে অনড় তাঁরা। 


নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে রায়দানের সম্ভাবনা। কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন ২০০৯-এর দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীরা। অন্যদিকে, অবস্থানে অনড় ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ নন ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা। ধর্নামঞ্চে আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা পালন করলেন রাস উত্সব। 


আন্দোলন প্রত্যাহার, জারি আন্দোলন । একদিকে কিছুটা স্বস্তি! অন্যদিকে, দুঃশ্চিন্তার সেই এক ছবি! অভিযোগ, ১৩ বছর ধরে বঞ্চিত। ২বার পরীক্ষা দিতে হয়েছে। কিন্তু আখেরে কিছুই হয়নি। দাবি জানাতে কালীঘাট থেকে নবান্নে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। অবশেষে গলল বরফ!৩৭ দিন পর অবস্থান প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন ২০০৯-এর দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীরা। 


একদিকে, নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে রায়দানের সম্ভাবনা,অন্যদিকে, চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, কুণাল ঘোষের সঙ্গে আলোচনায় ইতিবাচক ইঙ্গিত মিলেছে। তবে, চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকে নিয়োগপত্র হাতে না পাওয়া পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিলের সামনে অবস্থান চালিয়ে যাবেন তাঁরা। 


এদিকে, ২০০৯-এর চাকরিপ্রার্থীরা যখন, আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন, তখন গাঁধীমূর্তির পাদদেশের আরেক প্রান্তে বসে থাকা নবম থেকে দ্বাদশ SLST চাকরিপ্রার্থীরা এখনও অন্ধকারে। আন্দোলনের ৬০৪ দিন মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে একাধিক আন্দোলনের মঞ্চ। 


একদিকে ২০১৪-র প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ নন ইনক্লুডেডরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশেই আন্দোলনে বসেছেন SSC গ্রুপ C, গ্রুপ D-র চাকরিপ্রার্থীরা। একই সঙ্গে ১৩৯ দিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন ২০১৪ আপার প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা। দুর্গাপুজো থেকে কালীপুজো, ভাইফোঁটা, সবই কেটেছে আন্দোলনে, রাস্তায়। মঙ্গলবার রাসপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে রাধা-কৃষ্ণ সেজে আন্দোলনে নামেন চাকরিপ্রাৰ্থীরা। 


পথেই কাটছে একটার পর একটা দিন, কবে মিলবে নিয়োগপত্র? আর কতদিন প্রতীক্ষা করতে হবে? তা নিয়ে শাসকদলকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। 


বেআইনিভাবে নিযুক্ত প্রার্থীদের চাকরি বাতিল হবে। আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার ইস্তফা দিলেন জলপাইগুড়ির বানারহাট উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষিকা অনন্যা মহাপাত্র। সূত্রের খবর, কারণ হিসেবে স্কুলকে তিনি জানিয়েছেন, বাতিল তালিকায় নাম থাকাতেই এই সিদ্ধান্ত। হাইকোর্টের নির্দেশে স্কুলের চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেন জলপাইগুড়ির বানারহাট উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা। সূত্রের খবর, ইস্তফার কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকায় নাম থাকাতেই এই সিদ্ধান্ত।