কলকাতা : বিজেপির বনধকে কেন্দ্র করে কোলে মার্কেটে ব্যাপক উত্তেজনা। সম্মুখসমরে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ ও তৃণমূল। পুলিশের সামনেই ধস্তাধস্তি, উত্তেজনা ছড়ায়। একদিকে হাতজোড় করে বনধে শামিল হওয়ার আহ্বান জানাতে দেখা যায় বিজেপি কাউন্সিলরকে। অন্যদিকে, তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় একাংশ । শামিল হন ব্যবসায়ীরাও। 'ওষুধের দোকান বন্ধ করতে বলা কোন ধরনের রাজনীতি' বলে বিক্ষোভ থেকে আওয়াজ তোলেন কেউ কেউ। সবমিলিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা ছড়ায় সেখানে। Bangla Bandh 2024
এদিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে হাতজোড় করে শান্তিপূর্বক দোকান বন্ধ করার কথা বলছিলেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছিলেন তিনি। ঘুরতে ঘুরতে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে তিনি কোলে মার্কেটে আসেন। সেই সময় একটি ওষুধের দোকানে শাটার বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গন্ডগোল শুরু হয়। ব্যবসায়ীরা সজল ঘোষকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। সেই সময় বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, 'সজল ঘোষ তোলাবাজ। যে মানুষ ওষুধের দোকান বন্ধ করে সে সমাজের বিরোধী।' প্রসঙ্গত, বিজেপি কাউন্সিলর জোরজবরদস্তি করে ওষুধের দোকান বন্ধ করছিলেন বলে অভিযোগ।
যদিও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে সজলকে বলতে শোনা যায়, "আমরা হাতজোড় করে অনুরোধ করছি। গায়ের জোর দেখাইনি। আপনারাও এই বনধে শামিল হন। হাত জোড় করে অনুরোধ করছি। " ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। সেই সময় নিরাপত্তাপরক্ষীরা তাঁকে ঘিরে রাখেন। মুচিপাড়া থানার পুলিশও তাঁকে বের করে আনার চেষ্টা করেন। একাংশ বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে তাঁর পাল্টা অভিযোগ, এরা সমাজবিরোধী। এরা ধর্ষকের সমর্থক।
এদিন বিজেপির ডাকা বনধকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় চরম অশান্তির ছবি ধরা পড়ল। সকাল থেকেই বনধের সমর্থনে পথে নেমে পড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। অনেক জায়গাতেই বিজেপি নেতা-নেত্রীদের হাতজোড় করে বনধের সমর্থনে শামিল হওয়ার জন্য জনসাধারণকে অনুরোধ করতে দেখা যায়। কিছু কিছু জায়গায় বনধের বিরোধিতায় পথে নামেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। যাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপি ধস্তাধস্তি, বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। চরম বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। যদিও গোড়া থেকেই সক্রিয় থাকতে দেখা যায় পুলিশকে। বিভিন্ন জায়গায় বাধা পেয়ে পথেও বসে পড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।