হিন্দোল দে, শিলিগুড়ি: শিলিগুড়িতে (Siliguri) বিজেপির (BJP) ডাকা বন্‍‍ধ ঘিরে উত্তেজনা। সরকারি বাস (Government Bus) চলাচলে বাধা। রাস্তায় মিছিলে হাজির বিজেপি (BJP) নেতা শঙ্কর ঘোষ। অভিযোগ,  জোর করে দোকান বন্‍ধ-এর চেষ্টা বিজেপি করেন কর্মী-সমর্থকরা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন শঙ্কর ঘোষ। 


পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগে ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্‍‍ধের ডাক দেয়  বিজেপি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তৎপর রাজ্য সরকারও। সকাল থেকে রাস্তায় রাস্তায় মোতায়েন অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই সকাল থেকে অশান্তির খবর সামনে আসছে। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন বনধের জেরে জেলায় জেলায় উত্তেজনা। দিকে দিকে পিকেটিং করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। উত্তরবঙ্গে বন্‍‍ধ বিক্ষোভে গ্রেফতার বিজেপির ২ বিধায়ক। ধৃত নকশালবাড়ির বিজেপি বিধায়ক আনন্দময় বর্মণ। গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয় নকশালবাড়ি থানায়। একইসঙ্গে গ্রেফতার বিজেপি কর্মীরা। গ্রেফতার হওয়ার পর গানে গানে প্রতিবাদ করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। গ্রেফতার করা হয় বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকেও। 


বেহালার ১৪ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে ডায়মন্ড হারবার রোডে সকাল ১০টা ২০ নাগাদ পথ অবরোধের চেষ্টা করেন। কিন্তু আগে থেকেই প্রস্তুতি ছিল পুলিশ। রাস্তা আটকাতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। রাস্তায় শুয়ে পড়েন অবরোধকারীরা। পুলিশ  অবরোধকারীদের টেনে সরিয়ে দেয়। কালাকার স্ট্রিটে বিজেপির মিছিলকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়।  মীনাদেবী পুরোহিত, কল্যাণ চৌবেরা ছিলেন মিছিলের নেতৃত্বে। কালাকার স্ট্রিটে বেশিরভাগ দোকান বন্ধ থাকলেও কিছু দোকান খোলা ছিল। বিজেপি কর্মীরা গিয়ে দোকান বন্ধ করতে বলেন। তখন পুলিশ জানায়, ইচ্ছে হলে মালিকরা দোকান খোলা রাখতে পারেন।  এই নিয়ে দু’পক্ষে বচসা শুরু হয়। এরপর মিছিল এমজি রোড ক্রসিংয়ে এলে পুলিশ পথ আটকায়।  পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিজেপির কর্মী সমর্থকদের। যাদবপুরে বনধ সমর্থক বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় গন্ডগোল হয়। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ বিজেপি কর্মীরা এইট বি মোড় অবরোধ করতে গেলে সরিয়ে দেয় পুলিশ।  ফের দ্বিতীয় দফায় পথ অবরোধের চেষ্টা হলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। 


আরও পড়ুন: West Bengal Bangla Bandh: হুগলি স্টেশনে রেল অবরোধ বিজেপি সমর্থকদের