কলকাতা: বাংলাদেশের সাংসদ খুনে সিআইডির হাতে গ্রেফতার অন্যতম চক্রী। ধৃতের নাম সিয়াম হোসেন। বনগাঁ সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করল সিআইডি। সিআইডি সূত্রে খবর, গোটা ঘটনার পরিকল্পনা করে সিয়াম হোসেন। ঘটনার পর ধর্মতলা থেকে বাস ধরে বিহার হয়ে নেপাল পালায় অভিযুক্ত। 


বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ার উল আজিমের দেহাংশের খোঁজে এবার ভারতীয় নৌ সেনার সাহায্য নিল CID।  সাংসদের দেহাংশ ও খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের খোঁজে তল্লাশি চালান ৩ জন নৌ সেনার আধিকারিক। বিশেষ মেটাল ডিটেক্টর নিয়ে তল্লাশি চালানো হলেও মেলেনি কিছুই। নামল ডুবুরি। মেটাল ডিটেক্টর নিয়ে নামলেন ভারতীয় নৌসেনার আধিকারিকরা। তল্লাশি চলল স্পিড বোটে। বাংলাদেশের মৃত সাংসদের দেহাংশের খোঁজে এবার ভারতীয় নৌ সেনার সাহায্য নিল CID।
 
CID-র সঙ্গে কৃষ্ণমাটির বাগজোলা খালে তল্লাশি চালায় কলকাতা পুলিশের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপও। কিন্তু, সপ্তাহের শুরুতে দিনভর তল্লাশি চালিয়েও খোঁজ মেলেনি বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ার উল আজিমের দেহ বা দেহাংশের। পাওয়া গেল না সুটকেস বা খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র। বাংলায় এসে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ার উল আজিম। শুধু খুনই নয়। অভিযোগ তারপর, কসাই দিয়ে গোটা দেহ থেকে চামড়া ছাড়িয়ে নিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে ট্রলিব্য়াগে করে দেহ নিয়ে গিয়ে ফেলা হয়েছে খালে।


কিন্তু খোঁজাখুঁজির পরেও কিছুতেই মিলেনি সোমবার বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ার উল আজিমের দেহ বা দেহাংশ। মিলছে না খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রও। ডুবুরি জেলের পর গত সোমবার খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল ভারতীয় নৌ সেনার আধিকারিকদের। তাহলে কোথায় গেল বাংলাদেশের সাংসদের দেহাংশ? খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রই বা কোথায়? যে সুটকেসে করে দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেটাই বা কোথায় ফেলা হয়েছে? এখনও একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা।
 
 বাংলাদেশের ঝিনাইদহের সাংসদ আনোয়ার-উল-আজিম খুনে ধৃত আমানুল্লার বয়ানের ভিত্তিতে, ইতিমধ্যেই নিউটাউনের আবাসনের সেপটিক ট্যাঙ্কে তল্লাশি চালিয়ে,মানুষের দেহাংশ, চামড়া ও চুল উদ্ধার করেছে CID। সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মেলা দেহাংশ সাংসদেরই কিনা সেই বিষয় নিশ্চিত হতে DNA টেস্টের তোড়জোড় শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। 


খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশে আগেই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা খুনের কথা স্বীকার করলেও সাংসদের দেহ, দেহাংশ, তাঁর পোশাক বা খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র ছাড়া আদালতে তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করা সম্ভব নয়। তাই কি একের পর এক ভুল তথ্য দিয়ে তদন্তকারীদের ভুল পথে চালিত করছে ধৃতরা? উঠছে প্রশ্ন।


আরও পড়ুন, ভোটের কাজের জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাঠানো টাকা নয়ছয় হয়েছে : কৃষ্ণনগরের BJP প্রার্থী অমৃতা


(খবরটি সম্প্রতি ব্রেক করা হয়েছে। বিস্তারিত কিছুক্ষণ পরই দেওয়া হচ্ছে। একটু পরে রিফ্রেশ করুন। জেলা থেকে শহর, দেশ, বিদেশ, বিনোদন থেকে খেলা, বিজ্ঞান থেকে প্রযুক্তি সহ অন্যান্য সমস্ত খবরের আপডেটের জন্য দেখতে থাকুন এবিপি আনন্দ ও এবিপি লাইভ)


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।