পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: 'বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন জায়গায় ছদ্মবেশী বাংলাদেশিরা ভোটার কার্ড তৈরি করে আস্তানা গাড়ছে', দাবি করে দলের কর্মীদের সতর্ক করলেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। 'উস্কানিমূলক বক্তব্য', দাবি তৃণমূলের।

রাজ্যের সীমান্তবর্তী জেলাগুলির পাশাপাশি এবার বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তেও অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি প্রবেশের অভিযোগে সরব হতে দেখা গেল ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখাকে। বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের মাঝডিহা এলাকায় দলীয় একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে ওই বিধায়ক প্রকাশ্যেই দলের কর্মীদের সতর্ক করে বলেন, 'বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীরা বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায় ছদ্মবেশে প্রবেশ করছে। ভোটার কার্ড তৈরি করে আস্তানা তৈরি করছে।' কোনও নাগরিককে সন্দেহ হলেই তাঁর নথি যাচাই করার পরামর্শও দেন ওই বিধায়ক।
রাজ্যে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ নিয়ে উত্তাল সীমান্ত জেলাগুলি। অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও অশান্তির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। সীমান্তের জেলা না হলেও বাঁকুড়া জেলাতেও ছদ্মবেশে অনুপ্রবেশকারীরা প্রবেশ করছে অন্তত তেমনই ইঙ্গিত দিয়ে এবার দলীয় কর্মী-সহ সাধারণ মানুষকে সতর্ক করলেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক।
তাঁর দাবি বাঁকুড়া জেলাতেও বিভিন্ন জায়গায় ছদ্মবেশে বাংলাদেশীরা ভোটার কার্ড তৈরি করে আস্তানা গাড়ছে। একই সঙ্গে বিধায়কের দাবি, রাজ্যের টাকা বিশেষ একটি সম্প্রদায়কে পাইয়ে দিয়ে এরাজ্যকে বাংলাদেশ তৈরি করতে চাইছে রাজ্য সরকার। পার্শ্ববর্তী ঝাড়খন্ড রাজ্যেও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা প্রবেশ করে কৌশলে আদিবাসীদের বিয়ে করে, তাঁদের জমি জায়গা হাতিয়ে নিচ্ছে। ওন্দার বিজেপি বিধায়কের এমন বক্তব্য সামনে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূলের দাবি, 'বিধায়কের ওই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তৃণমূলের কটাক্ষ উস্কানিমূলক মন্তব্য করে ওই বিধায়ক খবরের শিরোনামে আসতে চাইছেন।'
সম্প্রতি অনুপ্রবেশ নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ও অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'এখানে গুন্ডা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বর্ডার দিয়ে খুন করছে চলে যাচ্ছে এইরকম লোক পাঠানো হচ্ছে। এটা বিএসএফর অনেক ভিতরকার কাজ। এতে কেন্দ্রীয় সরকারের একটা ব্লু প্রিন্ট আছে।' তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'বাংলার পুলিশ যদি সহযোগিতা না করত, কোনও জঙ্গি ধরা পড়ত না। এই জঙ্গিদের ঢুকিয়েছিল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স। বাংলাকে অশান্ত করার জন্য।'