প্রসেনজিৎ সাহা, আগরতলা (ত্রিপুরা) : বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবেড়িয়ায় বাসে হামলা। ত্রিপুরা থেকে কলকাতায় আসার পথে হামলার ঘটনা ঘটে। ব্রাহ্মণবেড়িয়ায় কলকাতামুখী বাসকে ধাক্কা মারে একটি পণ্যবাহী ট্রাক। অভিযোগ, বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের হুমকি দেন বাংলাদেশিরা। ভারতীয় যাত্রীদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় ও ভারত বিরোধী মন্তব্য করা হয়। এক্স হ্যান্ডলে ছবি পোস্ট করে সরব ত্রিপুরার পরিবহণমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।


কী ঘটনা ?


আজ সকালে আগরতলা থেকে কলকাতার উদ্দেশে একটি বেসরকারি পরিবহনের বাস পরিষেবা শুরু হয়। বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবেড়িয়ায় বিশ্বরোডে বাস পৌঁছাতেই সেখানে একটি পণ্যবাহী ট্রাক গিয়ে বাসটিতে ধাক্কা দেয়। মন্ত্রীর অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাসে ধাক্কা মারা হয়। একই সময়ে রাস্তায় থাকা একটি অটো বাসের সামনে চলে আসে এবং বাসটির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। অভিযোগ, তারপরেই বাসটিকে ঘিরে ধরেন সেখানকার লোকজন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভারত-বিরোধী স্লোগান শুরু করেন। ভিতরে থাকা যাত্রীদের হুমকি দেওয়া হয়। ভয় দেখানো হয়। যদিও পরবর্তী সময়ে সেটি নিছক একটি পথ দুর্ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা হচ্ছে।  


উত্তপ্ত বাংলাদেশ। লাগাতার মন্দিরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, মারধর, লুঠের ঘটনার মাঝে ফের নতুন করে মন্দিরে হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনা চট্টগ্রামের পাথরঘাটায়। বাংলাদেশের 'প্রথম আলো' সংবাদপত্র সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে শান্তন্বেশ্বরী মাতৃমন্দিরে ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে, মিছিল থেকে কিছু ব্য়ক্তি মন্দিরে হামলা চালায়। ভাঙচুর চালানো হয় পার্শ্ববর্তী বাড়ি এবং দোকানে। 


এদিকে ঘটনায় এপার বাংলা-সহ ভারতজুড়ে চলছে প্রতিবাদ। কলকাতার জে এন রায় হাসপাতালের পর এবার আগরতলার আইএলএস হাসপাতালও বাংলাদেশি রোগীদের পরিষেবা দেওয়া বন্ধ করে দিল। বাংলাদেশে সন্ন্য়াসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি ও হিনদুদের ওপর অত্য়াচারের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে এপার বাংলা। ক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশি রোগীদের পরিষেবা বন্ধের দাবিতে শনিবার আগরতলার আইএলএস হাসপাতালে জাতীয় পতাকা হাতে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। শেষপর্যন্ত তাদের দাবি মেনে নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


ইসকনের সন্ন্যাসীকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইসকনের একাধিক শাখায় ভাঙচুর হয়েছে। জোর করে বন্ধ করে দেওয়ার ছবি সামনে এসেছে। এমনকী ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে মিছিলও বেরিয়েছে ঢাকায়। বাংলাদেশে যখন বেছে বেছে হিন্দুদের টার্গেট করা হচ্ছে, তখন এর প্রতিবাদে রবিবার বিশ্বজুড়ে সব শাখায় প্রার্থনা এবং কীর্তনের আয়োজন করল ইসকন। বিশ্বের ১৫০টি দেশে এই প্রার্থনায় অংশ নেবেন ইসকনের ভক্তরা।